হাওর বার্তা ডেস্কঃ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইয়ে অল্পবয়সী সুন্দরী তরুণীদের পাচার করে যৌনকর্মে বাধ্য কর হতো। এসব অভিযোগে মানবপাচারকারী একটি চক্রের হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার সিআইডির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। তবে তাদের কোথা থেকে ধরা হয় সে বিষয়ে কিছু জানায়নি সিআইডি।
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে ৪৫ বছর বয়সী মো. আজম খান এই চক্রের হোতা। তিনি দুবাইয়ের ফরচুন পারল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্স ক্লাব, হোটেল রয়্যাল ফরচুন, হোটেল ফরচুন গ্র্যান্ড এবং হোটেল সিটি টাওয়ারের মালিক।
তার সহযোগীরা হলেন-আলামিন হোসেন ডায়মন্ড এবং আনোয়ার হোসেন ময়না।
সম্প্রতি আজম খানের ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানায় দুবাই পুলিশ। দেশটি তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। এরপর একটি এক্সিট পাস নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন আজম। তারপর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আজম বিভিন্ন ক্লাব ও হোটেলে কাজ দেওয়ার নামে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অল্পবয়সী সুন্দরী তরুণীদের পাচার করে দুবাইয়ে নিত। তারপর সেখানে তাদের যৌনকর্মে বাধ্য করা হত।’
সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই চক্রের অন্যরা ড্যান্সের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাত তরুণীদের। পরে আজমের মাধ্যমে তাদের দুবাইয়ে পাঠানো হত।
সেখানে পৌঁছানোর পর আজমের মালিকানাধীন হোটেলগুলোতে আটকে রেখে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন চালানো হত। একেকজনকে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা বলে পাচার করা হতো।
এসব ঘটনার বেশ কিছু অডিও ক্লিপ সিআইডির হাতে এসেছে বলে জানান ইমতিয়াজ আহমেদ।
মানবপাচারকারী এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২ জুলাই লালবাগ থানায় মামলা করেছে সিআইডি। পাচারের শিকার নারীরা জবানবন্দিও দিয়েছেন।