ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মারাত্মক ক্ষতি, স্যানিটাইজার কেনার আগে যে বিষয়টি দেখে নেবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • ২০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ছিল অল্প সংখ্যক স্বাস্থ্য সচেতন শৌখিন মানুষের মধ্যে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এখন সবাই এর ব্যবহার জানে। কিন্তু এখন বিশ্ব জুড়ে মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে এই স্যানিটাইজার। বিশেষজ্ঞদের মতে মাস্ক, স্যানিটাইজার আর গ্লাভস নিয়েই এখন লড়তে হবে আমাদের। করোনাভাইরাস হাত, নাক এবং মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। তাই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে কিছুতেই তা কোথাও ছোঁয়ানো উচিত নয়। বার বার হাত ধুতে হবে। পকেটে স্যানিটাইজারক রাখতে হবে। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যায়। এছাড়াও সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ঘষে তবেই হাত ধুতে হবে।

কিছু স্যানিটাইজারে মিথানলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি রাখা হয়েছে। যা মানব দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই স্যানিটাইজার কেনার সময় এই দিকগুলোতে ভালো ভাবে নজর দিন। এছাড়াও পারলে জেল বেসড স্যানিটাইজার কিনুন।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। সবসময় দেখে নেবেন তা যেন অ্যালকোহল বেসড হয়। যে সব স্যানিটাইজার পরীক্ষিত এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আগে থেকেই বাজারে রয়েছে সেগুলি কেনার চেষ্টা করুন। করোনার সংক্রমণের পর নতুন বানানো হচ্ছে বা লোকাল মার্কেটে তৈরি হচ্ছে এরকম স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না।

লকোহল বেসড স্যানিটাইজার কেনার আগে এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিন। এছাড়াও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ভাইরাল প্রোটেকশন যেন থাকে তা দেখে নিন। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকা বাধ্যতামূলক। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যায় স্যানিটাইজার কিন্তু ত্বকের ক্ষতি করবে। আপনার এবং পরিবারের সুরক্ষায় এই কাজ ভীষণ জরুরি। কেনার পর তা সবসময় ঠান্ডা এবং শুকনো পরিবেশে রাখুন। রোদে কখনই স্যানিটাইজার ফেলে রাখবেন না।

মিথানল বেশি থাকলে সেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। মিথানলের বিষক্রিয়ায় বমি বমি ভাব, মাথাঘোরা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, দৃষ্টি ঝাপসা এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং বেশি পরিমাণ মিথানল শরীরে গেলে সেখান থেকে অন্ধত্ব মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

এটি ত্বককে শুকনো করে দেয়। নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়। শিশু এবং গর্ভবতীদের জন্য তা বিশেষ ক্ষতিকারক। আরেকটি বিপদ হল মিথানল দাহ্য বলে চটকরে আগুনও জ্বলে যেতে পারে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পর এরকম কোনো সমস্যা হলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বেশি নিরাপদ

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার চাইতে ভালো আর কিছুই হয় না। যতক্ষণ হাতের সামনে সাবান থাকছে ততক্ষণ স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও বেশি স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাত খসখসে হয়ে যায়। কিছু স্যানিটাইজার আবার শরীরের পক্ষেও ভালো নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মারাত্মক ক্ষতি, স্যানিটাইজার কেনার আগে যে বিষয়টি দেখে নেবেন

আপডেট টাইম : ১০:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ছিল অল্প সংখ্যক স্বাস্থ্য সচেতন শৌখিন মানুষের মধ্যে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এখন সবাই এর ব্যবহার জানে। কিন্তু এখন বিশ্ব জুড়ে মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে এই স্যানিটাইজার। বিশেষজ্ঞদের মতে মাস্ক, স্যানিটাইজার আর গ্লাভস নিয়েই এখন লড়তে হবে আমাদের। করোনাভাইরাস হাত, নাক এবং মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। তাই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে কিছুতেই তা কোথাও ছোঁয়ানো উচিত নয়। বার বার হাত ধুতে হবে। পকেটে স্যানিটাইজারক রাখতে হবে। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকা যায়। এছাড়াও সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ঘষে তবেই হাত ধুতে হবে।

কিছু স্যানিটাইজারে মিথানলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি রাখা হয়েছে। যা মানব দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই স্যানিটাইজার কেনার সময় এই দিকগুলোতে ভালো ভাবে নজর দিন। এছাড়াও পারলে জেল বেসড স্যানিটাইজার কিনুন।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। সবসময় দেখে নেবেন তা যেন অ্যালকোহল বেসড হয়। যে সব স্যানিটাইজার পরীক্ষিত এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আগে থেকেই বাজারে রয়েছে সেগুলি কেনার চেষ্টা করুন। করোনার সংক্রমণের পর নতুন বানানো হচ্ছে বা লোকাল মার্কেটে তৈরি হচ্ছে এরকম স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না।

লকোহল বেসড স্যানিটাইজার কেনার আগে এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিন। এছাড়াও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ভাইরাল প্রোটেকশন যেন থাকে তা দেখে নিন। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকা বাধ্যতামূলক। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যায় স্যানিটাইজার কিন্তু ত্বকের ক্ষতি করবে। আপনার এবং পরিবারের সুরক্ষায় এই কাজ ভীষণ জরুরি। কেনার পর তা সবসময় ঠান্ডা এবং শুকনো পরিবেশে রাখুন। রোদে কখনই স্যানিটাইজার ফেলে রাখবেন না।

মিথানল বেশি থাকলে সেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। মিথানলের বিষক্রিয়ায় বমি বমি ভাব, মাথাঘোরা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, দৃষ্টি ঝাপসা এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং বেশি পরিমাণ মিথানল শরীরে গেলে সেখান থেকে অন্ধত্ব মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

এটি ত্বককে শুকনো করে দেয়। নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়। শিশু এবং গর্ভবতীদের জন্য তা বিশেষ ক্ষতিকারক। আরেকটি বিপদ হল মিথানল দাহ্য বলে চটকরে আগুনও জ্বলে যেতে পারে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পর এরকম কোনো সমস্যা হলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বেশি নিরাপদ

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার চাইতে ভালো আর কিছুই হয় না। যতক্ষণ হাতের সামনে সাবান থাকছে ততক্ষণ স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও বেশি স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাত খসখসে হয়ে যায়। কিছু স্যানিটাইজার আবার শরীরের পক্ষেও ভালো নয়।