ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৩৪ পৌরসভায় লড়বেন ৯২১ মেয়র প্রার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩০৩ বার

পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিপুল প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ১৬২ জন প্রার্থী। ২৩৪ পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৯২১ মেয়র প্রার্থী। তাদের মধ্যে ছয় পৌরসভায় মেয়র পদে শুধু আওয়ামী লীগের একজন করে প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যগুলোতে গতকাল সোমবার প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গতকাল রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যায়নি।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার পর্যন্ত মেয়র পদে ১৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯২১ জন। এর মধ্যে ছয় পৌরসভায় একক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে আওয়ামী লীগের ২৩৩ জন, বিএনপির ২১৯ জন এবং জাতীয় পার্টির ৭৩ জন। বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেনÑ স্বতন্ত্র ও নির্বাচনে অংশ নেয়া বাকি এক ডজন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।
ইসির উপসচিব সামসুল আলম জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গতকাল সকালে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দলের মনোনীতরা দলীয় প্রতীক, স্বতন্ত্র মেয়র এবং সাধারণ ও সংরতি মেয়র প্রার্থীরা সংরতি তালিকা থেকে পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ পান। একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারি করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থী সংখ্যা বেশি হলে ইসির অতিরিক্ত তালিকা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে মেয়র পদে এক হাজার ২১৩ জন প্রার্থী ছিলেন। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে মোট এক হাজার ৫৬ জন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনীত ৬৭১ জন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৮৫ জন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান আরো ২৭ জন। মেয়র প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৯০ জন।
আওয়ামী লীগের ৮০ বিএনপির ২৫ বিদ্রোহী প্রার্থী : প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পরেও পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বড় দুই দলই। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৮০ বিএনপির ২৫ বিদ্রোহী প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এ দিকে বিএনপি আপাতত বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে ভাবছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের নির্যাতনের ফলে মাঠে প্রার্থী ধরে রাখাই সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্রোহ দমনে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চায় না দলটি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্থানীয়ভাবে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হতে পারে।
পৌর নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়ক দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমরা বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। স্থানীয়ভাবে বিদ্রোহীদের নিষ্ক্রিয় করার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া খুব বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেশি বিপাকে রয়েছে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহীদের হুমকি এমনকি সাময়িক বহিষ্কার করেও নির্বাচন থেকে দূরে সরানো যাচ্ছে না।
মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ : পৌরসভায় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও মিছিল-মিটিং-শোডাউনসহ ১০ ধরনের বিধিনিষেধ প্রার্থীদের মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসি থেকে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে আচরণবিধিসংক্রান্ত এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থী বা প্রার্থীর পে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ধরনের মিছিল বা মশাল মিছিল বা যানবাহনে মিছিল সহকারে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অন্তত দশ ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ইসির উপসচিব বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো জানিয়ে দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচারসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি মেনে চলতে বলল ইসি : পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করে মন্ত্রী-এমপিদের বিব্রত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো: শাহ নেওয়াজ। ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে গতকাল এ আহ্বান জানান তিনি।
শাহ নেওয়াজ বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গকারী যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তবে আমাদের কাছে এখনো এমপি-মন্ত্রীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে প্রার্থী হতে বাধা দেয়া হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখব এবং সত্যতা পেলে অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
বিএনপির একজন প্রার্থীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে, সে প্রেক্ষিতে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনারা হয়তো পেয়েছেন। গণমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে যাচাই করার জন্য পর্যবেক্ষণ টিম করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাইক্রোফোনের ব্যবহার সীমাবদ্ধ : প্রার্থী বা প্রার্থীর পে অন্য কোনো ব্যক্তি একটি ওয়ার্ডে পথসভার জন্য একটি এবং নির্বাচনী প্রচারণার জন্য একটি মোট দু’টি মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন। এ েেত্র প্রচারণা বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা লিফলেট : প্রার্থীর পোস্টার হতে হবে সাদা-কালো। পোস্টারের আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৬০ সেমি এবং প্রস্থে ৪৫ সেমি। এতে ছাপানো ছবি প্রার্থীর পোট্রেট হতে হবে কোনো অনুষ্ঠান বা মিছিলে নেতৃত্ব দান, প্রার্থনারত অবস্থা প্রভৃতি ভঙ্গিমার ছবি ছাপানো যাবে না। নির্বাচনী প্রতীকের আকার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও তারিখবিহীন কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। পোস্টার কেবল নির্বাচনী এলাকায় ঝোলানো যাবে। কোনো স্থাপনার দেয়াল বা যানবাহনে পোস্টার বা হ্যান্ডবিল বা লিফলেট লাগানো যাবে না।
দল প্রধানের ছবি : প্রার্থী তার পোস্টারে নিজের ছবি ছাড়া কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ছাপাতে পারবেন। দলীয় প্রধানের ছবি লিফলেটেও ছাপানো যাবে।
মিছিল বা শোডাউন : নির্বাচনে যেকোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন নিষিদ্ধ। প্রার্থী বা তার পে অন্য কেউ যেকোনো ধরনের মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। ইসি অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান চালাতে পারবেন না।
সভা-সমিতির বাধা-নিষেধ : পথসভা বা ঘরোয়া সভা ছাড়া কোনো সভা করতে পারবেন না। তবে ঘরোয়া সভা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে তা অবহিত করতে হবে। আর পথসভা কোনো স্থানে এমনভাবে করা যাবে না, যাতে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হয়। এ ছাড়া অন্য প্রার্থী কোনো পথসভা বা ঘরোয়া সভায় বাধা দিতে পারবেন না।
বিলবোর্ডে প্রচারণা : নির্বাচনে কোনো ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। অথবা অন্য কোনো কাঠামো বা বৃ প্রভৃতিতে স্থাপন বা ব্যবহার করা যাবে না।
জনগণের চলাচলে বিঘœ ঘটিয়ে গেট-তোরণ বা ঘের নির্মাণ : নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের গেট- তোরণ বা ক্যাম্প নির্মাণ কিংবা জনগণের চলাচলে অসুবিধা হয় এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রচারণার জন্য ৩৬ বর্গমিটারের বেশি স্থান নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবেন না প্রার্থীরা। কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী বা তার পে অন্য কেউ মসজিদ, মন্দির বা উপাসনালয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৭ ডিসেম্বর মধ্য রাত থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ ছাড়া বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক বা টেম্পো চলাচল ২৯ ডিসেম্বর মধ্য রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর মধ্য রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেে প্রার্থী বা প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যবেকেরা এসব যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী বাহন বা অ্যাম্বুলেন্সও এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরের ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। আবার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদে আগে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকলে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না অথবা ওই শিাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হবেন না।
মতাসীনদের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ : পৌর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। গতকাল বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ইসিতে এসে নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোস্তফা কামালকে অস্ত্রের মুখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, এই কমিশন যেসব নির্বাচন করেছে প্রত্যেকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা কমিশনের যে বক্তব্য শুনতে পাচ্ছি- তাতে মনে হয় তারা শক্তিশালী অবস্থান নিতে চাচ্ছেন। আশা করি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন উপহার দেবেন।
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হুমায়ুন কবির জানান, প্রতিপ দুই প্রার্থী তাকে ও তার সমর্থককে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ভোটের দিন বহিরাগতদের এনে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তির হুমকি দিচ্ছেন। ইসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
জামালপুরের ইসলামপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলুল হক খান দুলাল ডাকবাংলো ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাদের শেখের পে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদ মোশাররফ। তদন্ত করলে স্যা ও প্রমাণ উপস্থিত করতে পারবেন বলে ইসিতে লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার প্রচারণার সময় শুরুর আগেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার কাজ চালান বলে অভিযোগ দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাজী হুমায়ুন কবির। মতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী ২০-২৫টি মোটরসাইকেল দিয়ে মহড়া দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান বিএনপির এ প্রার্থী।
ইসির উপসচিব কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানান, কিছু পৌরসভায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে; যা সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি কোনোক্রমেই কাম্য নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২৩৪ পৌরসভায় লড়বেন ৯২১ মেয়র প্রার্থী

আপডেট টাইম : ১১:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিপুল প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ১৬২ জন প্রার্থী। ২৩৪ পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৯২১ মেয়র প্রার্থী। তাদের মধ্যে ছয় পৌরসভায় মেয়র পদে শুধু আওয়ামী লীগের একজন করে প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যগুলোতে গতকাল সোমবার প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গতকাল রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যায়নি।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার পর্যন্ত মেয়র পদে ১৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯২১ জন। এর মধ্যে ছয় পৌরসভায় একক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে আওয়ামী লীগের ২৩৩ জন, বিএনপির ২১৯ জন এবং জাতীয় পার্টির ৭৩ জন। বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেনÑ স্বতন্ত্র ও নির্বাচনে অংশ নেয়া বাকি এক ডজন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।
ইসির উপসচিব সামসুল আলম জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গতকাল সকালে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দলের মনোনীতরা দলীয় প্রতীক, স্বতন্ত্র মেয়র এবং সাধারণ ও সংরতি মেয়র প্রার্থীরা সংরতি তালিকা থেকে পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ পান। একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারি করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থী সংখ্যা বেশি হলে ইসির অতিরিক্ত তালিকা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে মেয়র পদে এক হাজার ২১৩ জন প্রার্থী ছিলেন। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে মোট এক হাজার ৫৬ জন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনীত ৬৭১ জন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৮৫ জন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান আরো ২৭ জন। মেয়র প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ৯০ জন।
আওয়ামী লীগের ৮০ বিএনপির ২৫ বিদ্রোহী প্রার্থী : প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পরেও পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বড় দুই দলই। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৮০ বিএনপির ২৫ বিদ্রোহী প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এ দিকে বিএনপি আপাতত বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে ভাবছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের নির্যাতনের ফলে মাঠে প্রার্থী ধরে রাখাই সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্রোহ দমনে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চায় না দলটি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্থানীয়ভাবে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হতে পারে।
পৌর নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়ক দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমরা বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। স্থানীয়ভাবে বিদ্রোহীদের নিষ্ক্রিয় করার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া খুব বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেশি বিপাকে রয়েছে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহীদের হুমকি এমনকি সাময়িক বহিষ্কার করেও নির্বাচন থেকে দূরে সরানো যাচ্ছে না।
মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ : পৌরসভায় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও মিছিল-মিটিং-শোডাউনসহ ১০ ধরনের বিধিনিষেধ প্রার্থীদের মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসি থেকে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে আচরণবিধিসংক্রান্ত এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থী বা প্রার্থীর পে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ধরনের মিছিল বা মশাল মিছিল বা যানবাহনে মিছিল সহকারে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অন্তত দশ ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ইসির উপসচিব বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো জানিয়ে দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভিন্ন মাধ্যমে তা প্রচারসহ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি মেনে চলতে বলল ইসি : পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করে মন্ত্রী-এমপিদের বিব্রত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো: শাহ নেওয়াজ। ইসি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে গতকাল এ আহ্বান জানান তিনি।
শাহ নেওয়াজ বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গকারী যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তবে আমাদের কাছে এখনো এমপি-মন্ত্রীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে প্রার্থী হতে বাধা দেয়া হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখব এবং সত্যতা পেলে অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
বিএনপির একজন প্রার্থীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে, সে প্রেক্ষিতে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো এ রকম কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনারা হয়তো পেয়েছেন। গণমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে যাচাই করার জন্য পর্যবেক্ষণ টিম করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাইক্রোফোনের ব্যবহার সীমাবদ্ধ : প্রার্থী বা প্রার্থীর পে অন্য কোনো ব্যক্তি একটি ওয়ার্ডে পথসভার জন্য একটি এবং নির্বাচনী প্রচারণার জন্য একটি মোট দু’টি মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন। এ েেত্র প্রচারণা বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
পোস্টার, হ্যান্ডবিল বা লিফলেট : প্রার্থীর পোস্টার হতে হবে সাদা-কালো। পোস্টারের আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৬০ সেমি এবং প্রস্থে ৪৫ সেমি। এতে ছাপানো ছবি প্রার্থীর পোট্রেট হতে হবে কোনো অনুষ্ঠান বা মিছিলে নেতৃত্ব দান, প্রার্থনারত অবস্থা প্রভৃতি ভঙ্গিমার ছবি ছাপানো যাবে না। নির্বাচনী প্রতীকের আকার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও তারিখবিহীন কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। পোস্টার কেবল নির্বাচনী এলাকায় ঝোলানো যাবে। কোনো স্থাপনার দেয়াল বা যানবাহনে পোস্টার বা হ্যান্ডবিল বা লিফলেট লাগানো যাবে না।
দল প্রধানের ছবি : প্রার্থী তার পোস্টারে নিজের ছবি ছাড়া কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ছাপাতে পারবেন। দলীয় প্রধানের ছবি লিফলেটেও ছাপানো যাবে।
মিছিল বা শোডাউন : নির্বাচনে যেকোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন নিষিদ্ধ। প্রার্থী বা তার পে অন্য কেউ যেকোনো ধরনের মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। ইসি অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান চালাতে পারবেন না।
সভা-সমিতির বাধা-নিষেধ : পথসভা বা ঘরোয়া সভা ছাড়া কোনো সভা করতে পারবেন না। তবে ঘরোয়া সভা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে তা অবহিত করতে হবে। আর পথসভা কোনো স্থানে এমনভাবে করা যাবে না, যাতে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হয়। এ ছাড়া অন্য প্রার্থী কোনো পথসভা বা ঘরোয়া সভায় বাধা দিতে পারবেন না।
বিলবোর্ডে প্রচারণা : নির্বাচনে কোনো ধরনের স্থায়ী বা অস্থায়ী বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। অথবা অন্য কোনো কাঠামো বা বৃ প্রভৃতিতে স্থাপন বা ব্যবহার করা যাবে না।
জনগণের চলাচলে বিঘœ ঘটিয়ে গেট-তোরণ বা ঘের নির্মাণ : নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের গেট- তোরণ বা ক্যাম্প নির্মাণ কিংবা জনগণের চলাচলে অসুবিধা হয় এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রচারণার জন্য ৩৬ বর্গমিটারের বেশি স্থান নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করতে পারবেন না প্রার্থীরা। কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী বা তার পে অন্য কেউ মসজিদ, মন্দির বা উপাসনালয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৭ ডিসেম্বর মধ্য রাত থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ ছাড়া বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক বা টেম্পো চলাচল ২৯ ডিসেম্বর মধ্য রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর মধ্য রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেে প্রার্থী বা প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, সাংবাদিক, পর্যবেকেরা এসব যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী বাহন বা অ্যাম্বুলেন্সও এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়া নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরের ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। আবার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদে আগে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকলে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না অথবা ওই শিাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে জড়িত হবেন না।
মতাসীনদের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ : পৌর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। গতকাল বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ইসিতে এসে নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোস্তফা কামালকে অস্ত্রের মুখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, এই কমিশন যেসব নির্বাচন করেছে প্রত্যেকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা কমিশনের যে বক্তব্য শুনতে পাচ্ছি- তাতে মনে হয় তারা শক্তিশালী অবস্থান নিতে চাচ্ছেন। আশা করি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন উপহার দেবেন।
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হুমায়ুন কবির জানান, প্রতিপ দুই প্রার্থী তাকে ও তার সমর্থককে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ভোটের দিন বহিরাগতদের এনে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তির হুমকি দিচ্ছেন। ইসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
জামালপুরের ইসলামপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলুল হক খান দুলাল ডাকবাংলো ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাদের শেখের পে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদ মোশাররফ। তদন্ত করলে স্যা ও প্রমাণ উপস্থিত করতে পারবেন বলে ইসিতে লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার প্রচারণার সময় শুরুর আগেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার কাজ চালান বলে অভিযোগ দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাজী হুমায়ুন কবির। মতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী ২০-২৫টি মোটরসাইকেল দিয়ে মহড়া দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান বিএনপির এ প্রার্থী।
ইসির উপসচিব কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানান, কিছু পৌরসভায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে; যা সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি কোনোক্রমেই কাম্য নয়।