ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা চিকিসায় ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্রদের সামর্থ্যের কথা ভাবা দরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
  • ৩৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারিভাবে ফি আরোপ করায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণভাবে মনে হতে পারে, সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষায় যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তেমন বেশি নয়।

কিন্তু এই ফি-ও দরিদ্র মানুষের জন্য অনেক বেশি। সময়মতো এ ফি জোগাড় করতে না পারার কারণে অনেকেই করোনা পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত হতে পারেন। দেখা গেছে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তিরা সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার চেষ্টা করেছেন।

এ চেষ্টায় সফল না হলে পরদিন এসে আবার হাজির হয়েছেন। সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষায় মানুষের এ আগ্রহ থেকেই বোঝা যায়, তারা অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী ছিলেন না। এছাড়া একজন দরিদ্র ব্যক্তির পক্ষে অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে এ সেবা নেয়া সম্ভব নয়।

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়বহুল। যেহেতু কোভিড-১৯ রোগীর আইসিইউ বা অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, সেহেতু স্বল্প আয়ের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে সেবা নেয়ার কথা চিন্তাও করেন না। কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা শেষে বেসরকারি হাসপাতালের বিলের পরিমাণ দেখে স্বজনদের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশের বিষয়টি প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।

এখন সরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষার ফি আরোপের ফলে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা ব্যয় স্বল্প আয়ের মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফি নির্ধারণের কারণে অনেকেই সংক্রমণ নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন এবং রোগটি ছড়িয়ে দেবেন সুস্থ মানুষের দেহে। এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।

করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ রোগীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার বিষয়টি বহুল আলোচিত। এসব সংকটের কারণে দেশে নতুন করে কী কী সমস্যা দেখা দেবে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও চিন্তিত।

এ অবস্থায় কী করে মহামারী সঠিকভাবে মোকাবেলা করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে উদাসীন। এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে দেশের প্রত্যেক মানুষ এ মহামারী মোকাবেলায় সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রান্তিক মানুষের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনা চিকিসায় ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্রদের সামর্থ্যের কথা ভাবা দরকার

আপডেট টাইম : ১০:২০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারিভাবে ফি আরোপ করায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণভাবে মনে হতে পারে, সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষায় যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তেমন বেশি নয়।

কিন্তু এই ফি-ও দরিদ্র মানুষের জন্য অনেক বেশি। সময়মতো এ ফি জোগাড় করতে না পারার কারণে অনেকেই করোনা পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত হতে পারেন। দেখা গেছে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তিরা সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার চেষ্টা করেছেন।

এ চেষ্টায় সফল না হলে পরদিন এসে আবার হাজির হয়েছেন। সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষায় মানুষের এ আগ্রহ থেকেই বোঝা যায়, তারা অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী ছিলেন না। এছাড়া একজন দরিদ্র ব্যক্তির পক্ষে অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে এ সেবা নেয়া সম্ভব নয়।

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়বহুল। যেহেতু কোভিড-১৯ রোগীর আইসিইউ বা অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, সেহেতু স্বল্প আয়ের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে সেবা নেয়ার কথা চিন্তাও করেন না। কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা শেষে বেসরকারি হাসপাতালের বিলের পরিমাণ দেখে স্বজনদের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশের বিষয়টি প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।

এখন সরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষার ফি আরোপের ফলে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা ব্যয় স্বল্প আয়ের মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফি নির্ধারণের কারণে অনেকেই সংক্রমণ নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন এবং রোগটি ছড়িয়ে দেবেন সুস্থ মানুষের দেহে। এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।

করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ রোগীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার বিষয়টি বহুল আলোচিত। এসব সংকটের কারণে দেশে নতুন করে কী কী সমস্যা দেখা দেবে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও চিন্তিত।

এ অবস্থায় কী করে মহামারী সঠিকভাবে মোকাবেলা করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে উদাসীন। এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে দেশের প্রত্যেক মানুষ এ মহামারী মোকাবেলায় সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রান্তিক মানুষের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।