হাওর বার্তা ডেস্কঃ লিভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যার ক্ষতি হলে মৃত্যুও ঘটে। লিভার আমাদের শরীরে জমে থাকা সব ক্ষতিকারক টক্সিনকে ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়। যদি কোনোভাবে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তবে শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন শরীরেই থেকে যাবে। যার ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একে একে বিকল হতে শুরু করবে।
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য লিভার সুস্থ রাখা কতোটা জরুরী। তাইতো লিভারের সুস্থতার জন্য পেট পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক লিভার সুস্থ রাখার অব্যর্থ চারটি উপায় সম্পর্কে-
রসুন
রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান, যা লিভারের এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কারের পাশাপাশি এর সুস্থতা নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কাঁচা রসুন খেতে পারলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
লেবু আর উষ্ণ পানি
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য খাবারের তুলনায় উষ্ণ পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে তা যকৃৎ বা লিভারে অনেক বেশি এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন-সি গ্লুটেথিয়ন নামে যে এনজাইম উৎপন্ন করে, তা লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই অন্যান্য পানীয়ের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে লিভার সুস্থ থাকবে, বাড়বে তার কর্মক্ষমতাও।
গ্রিন-টি পান করুন
গ্রিন-টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল টক্সিসিটি দূর করে এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ গ্রিন-টি পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। এতে গোটা শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
দিনে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস (২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার) পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই হলো পানি। এই পানিই শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। যখনই শরীরে পানির অভাব হবে, তখন লিভারে ও শরীরে টক্সিন জমতে থাকে। যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি করে। তাই লিভারের সুস্থতায় পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।