হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্যবিধি শিথিলের কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার বিষয়ে বিপদসংকেত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. হ্যান্স হেনরি ক্লুজে এর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইউরোপ ও মধ্যএশিয়ার ১১টি দেশ ও স্থানে দ্রুত করোনা সংক্রমিত হওয়ার বিষয়ে সতর্কতা ছিলো।
ডা. ক্লুজে বলছেন, করোনা নতুন করে প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি সম্পর্কে তার সর্তকতা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। যদি স্বাস্থ্যবিধি মানা না হয় এবং দ্রুত পরীক্ষা করা না হয়, তবে তিনি সর্তক করেছিলেন যে, দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এরই মধ্যে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্যএশিয়ার ৫৪টি দেশ ও অঞ্চলে মোট ২.৬ মিলিয়নের বেশি করোনা আক্রান্ত ও ১ লাখ ৯৫ হাজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিন সেখানে ২০ হাজার নতুন আক্রান্ত এবং ৭০০ টির বেশি নতুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ড. ক্লুজে বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি দেশগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবহেলার কারণে করোনার প্রাদুর্ভাবের কথা বলেছি। ইউরোপজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশে এই ঝুঁকিটি এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ৩০টি দেশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১১টি দেশ হলো, আর্মেনিয়া, সুইডেন, মলদোভা, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, আলবেনিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, কিরগিজস্তান, ইউক্রেন ও কসোভা।
তিনি বলেন, আমাদেরকে প্রকৃপক্ষে প্রস্তুতি নিতে হবে। সামনে করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য রোগের মুখোমুখি হতে পারে। কারণ ভাইরাস এখনো আমাদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এই সতর্কতা এমন সময় এসেছে যখন এক গবেষণা বলছে যে, ১০০ এর মতো শিশু করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায়ও সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছে১ লাখ ৭৯ হাজার ৫২১ জন মানুষ এবং মারা গেছে ৫ হাজার ১৭৫ জন। এর মধ্যে ব্রাজিলে সর্বাধিক ৪০ হাজারের বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু ১ হাজার ১৮০ জনের। তারপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, পেরু, চিলি প্রভৃতি দেশ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারে তথ্য বলছে, বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ লাখ ১০ হাজার, ২০৫ জন এবং মোট মৃত্যু ৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৩ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেয়িসুস সতর্ক করে বলেছেন, মহামারীটি বিশ্বব্যাপী আরও খারাপ হচ্ছে, সংক্রমণের সংখ্যা আগামী সপ্তাহে ১ কোটিতে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।