ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশে ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৯৫ কোটি ডলার ইটনায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও বস্ত্র বিতরণ প্রবাসে প্রেমিক ও লালমাইয়ে নববধূর আত্মহত্যা, চিরকুটে একই কবরে দাফনের অনুরোধ খুনের চার মাস পর নারীর মরদেহ উদ্ধার কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি : রিজওয়ানা হাসান সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে অমিত শাহ, বেনাপোলে ভোগান্তি অভিনয়ে সাফল্য পাননি তবুও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী!

চীন বাকি বিশ্বের জন্য আশার আলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
  • ২৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন আশার আলো জ্বেলেছ বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে চীনের কৌশল অন্য দেশগুলোয় ব্যবহার করা যায় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর বেলায়।

এএফপির খবরে জানানো হয়, চীনে গত চার দিনে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত একজন রোগী পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ চীনের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার তথ্য নিয়ে সতর্ক করেছেন, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসুস চীনের সফলতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, চীনের সফলতা বাকি বিশ্বের জন্য আশার আলো দিচ্ছে।

চীন কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত একদলীয় শাসনব্যবস্থার এমন দেশ, যেখানে ভিন্নমতের স্থান নেই এবং যেকোনো ইস্যুতে বিপুল পরিমাণের সম্পদ, লোকবলে রাতারাতি পরিবর্তন ঘটাতে পারে। চীনের যেসব বিষয় আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে অবরুদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, মাস্ক পরিধান, গণকোয়ারেন্টিন, সংহতি ইত্যাদি।

অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

গত জানুয়ারি মাসে চীন উহান শহরকে কার্যকরভাবে অবরুদ্ধ করে এবং এর ১ কোটি ১১ লাখ জনসংখ্যাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠায়। এই প্রক্রিয়া পরে অনুসরণ করা হয় পুরো হুবেই প্রদেশের জন্য। পাঁচ কোটি মানুষকে গণ–আইসোলেশনে পাঠায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষকে কঠোরভাবে বাড়িতে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।

গণসংহতি

পিকিং ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিষয়ের অধ্যাপক ঝেং জিজিই বলেছেন, হুবেই প্রদেশে কমপক্ষে ৪২ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হুবেই প্রদেশে পাঠানো হয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য। এ সময় ৩ হাজার ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন এবং ১৩ জন মারা যান।

মাস্ক ও সতর্কতা

শহরগুলোয় মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। অধ্যাপক ঝেংজিজিই বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষের ভাইরাসটি বহনের আশঙ্কার মধ্যে ব্যাপক হারে মাস্ক ব্যবহার ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পারে। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবর অনুসারে চীন প্রতিদিন ১৬ লাখ মাস্ক উৎপাদন করেছে ওই সময়।

উচ্চপ্রযুক্তির দেশটিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি যেখানে সীমিত, সেখানে কোনো কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জন্য ফোনে কিউআর কোড দেখানোর ব্যবস্থা করে। যেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে তাদের ‘সবুজ’, ‘হলুদ’ এবং ‘লাল’ চিহ্ন দেখায়। এর মাধ্যমে নাগরিকদের দেখানো হয়, তাঁরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাচ্ছেন কিনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

চীন বাকি বিশ্বের জন্য আশার আলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন আশার আলো জ্বেলেছ বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে চীনের কৌশল অন্য দেশগুলোয় ব্যবহার করা যায় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর বেলায়।

এএফপির খবরে জানানো হয়, চীনে গত চার দিনে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত একজন রোগী পাওয়া গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ চীনের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার তথ্য নিয়ে সতর্ক করেছেন, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসুস চীনের সফলতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, চীনের সফলতা বাকি বিশ্বের জন্য আশার আলো দিচ্ছে।

চীন কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত একদলীয় শাসনব্যবস্থার এমন দেশ, যেখানে ভিন্নমতের স্থান নেই এবং যেকোনো ইস্যুতে বিপুল পরিমাণের সম্পদ, লোকবলে রাতারাতি পরিবর্তন ঘটাতে পারে। চীনের যেসব বিষয় আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে অবরুদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, মাস্ক পরিধান, গণকোয়ারেন্টিন, সংহতি ইত্যাদি।

অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

গত জানুয়ারি মাসে চীন উহান শহরকে কার্যকরভাবে অবরুদ্ধ করে এবং এর ১ কোটি ১১ লাখ জনসংখ্যাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠায়। এই প্রক্রিয়া পরে অনুসরণ করা হয় পুরো হুবেই প্রদেশের জন্য। পাঁচ কোটি মানুষকে গণ–আইসোলেশনে পাঠায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষকে কঠোরভাবে বাড়িতে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।

গণসংহতি

পিকিং ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিষয়ের অধ্যাপক ঝেং জিজিই বলেছেন, হুবেই প্রদেশে কমপক্ষে ৪২ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হুবেই প্রদেশে পাঠানো হয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য। এ সময় ৩ হাজার ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন এবং ১৩ জন মারা যান।

মাস্ক ও সতর্কতা

শহরগুলোয় মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। অধ্যাপক ঝেংজিজিই বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষের ভাইরাসটি বহনের আশঙ্কার মধ্যে ব্যাপক হারে মাস্ক ব্যবহার ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পারে। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবর অনুসারে চীন প্রতিদিন ১৬ লাখ মাস্ক উৎপাদন করেছে ওই সময়।

উচ্চপ্রযুক্তির দেশটিতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি যেখানে সীমিত, সেখানে কোনো কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জন্য ফোনে কিউআর কোড দেখানোর ব্যবস্থা করে। যেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে তাদের ‘সবুজ’, ‘হলুদ’ এবং ‘লাল’ চিহ্ন দেখায়। এর মাধ্যমে নাগরিকদের দেখানো হয়, তাঁরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাচ্ছেন কিনা।