হাওর বার্তা ডেস্কঃ নাটোর জেলা কারাগারের এক কয়েদির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাকি কয়েদি ও কারাগারে কর্মরত কর্মীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে ভর্তি থাকা ওই কয়েদিকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই তাঁকে জামিনে মুক্ত করে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ পাঠানোর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
নাটোর জেলা কারাগার সূত্রে আজ রোববার জানা যায়, সদর থানার একটি মারামারি মামলার আসামি এই কয়েদি পাঁচ দিন আগে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। তাঁকে কারাগারের ভেতরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সুস্থ হচ্ছেন না। বরং আজ সকালে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলো স্পষ্ট।
আজ সকাল ১০টায় ওই কয়েদিকে কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে স্থানান্তর করা হয়। জেল সুপার বিষয়টি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার, সরকারি কৌঁসুলি ও সংশ্লিষ্ট বিচারককে অবহিত করেন। বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে তাঁরা আলাপ করেন। আপাতত ওই আসামিকে জামিনে মুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
জেল সুপার আবদুল বারেক বলেন, ওই কয়েদিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। তাঁর অসুস্থতা দেখে কারা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে তাঁর সুরক্ষার পাশাপাশি কারাগারের অন্য কয়েদি ও কারাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। দ্রুত করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করানো দরকার তাঁর। তা না হলে সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই কয়েদিকে কারাগার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে পুরো বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভর করছে।
জেলা সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনা জানার পর তাঁরা রোগীকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর চিকিৎসা নিয়ে কাজ করা হবে। একই সঙ্গে কারাগারসংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়েও ভাবা হবে।