ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদা লেবুর রস এবং মধুর টনিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
  • ২০৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বজুড়েই আতঙ্কের নাম এখন করোনাভাইরাস। তবে এটি বৈশ্বিক মহামারি হলেও এর আচরণ অনেকটা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর হতে পারে একটি প্রাকৃতিক টনিক। ঘরে বসেই খুব সহজে তৈরি করা যায় এই বিশেষ টনিক।

কিভাবে তৈরি করবেন : এই টনিকে তিনটি উপাদান রয়েছে- মধু, লেবু এবং আদা। এই তিনটি উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। এজন্য এগুলোকে শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়।
উপকরণ : ১ ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদার টুকরা, ১০০ মি.লি. পানি, ১০০ গ্রাম মধু ও ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস।
প্রস্তুতি : একটি চা কেটলিতে পানি ও আদা নিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন। তারপরে এগুলো একটি কাপে নিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর এতে মধু এবং লেবু মিশিয়ে মিশ্রনটি সারা রাত রেখে দিন। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, সকালে এই মিশ্রণটি খান এবং ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার : প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে মিশ্রনটি ৪ টেবিল চমাচ পরিমাণ পান করা উচিত। চিকিৎসাটি ৪০ দিনের জন্য পুনরাবৃত্তি করুন, তার পরে দু’সপ্তাহের বিরতি নিতে হবে এবং পরে আরও ৪০ দিন প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও সুস্থতা অনুভব করবেন। ঠান্ডা ও সর্দি-কাশির চিকিৎসায় এটি গরম করেও খাওয়া যেতে পারে।
মধু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে শক্তিশালী। এটিতে দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে ভাল কাজ করে। পুষ্টিবিদদের মতে মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুস পরিষ্কার করে। এটি গলার খুশখুশানিও দূর করে। লেবু ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, দু’টিই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম প্রদাহ, জীবাণু এবং ক্ষরণে লড়াই করে। লেবুতে থাকা এসিড রক্তচাপ এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ক্লান্তি এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। আদা নিঃসরণ দূর করতে কার্যকর। সাইনোসাইটিস এবং ফুসফুস পরিষ্কারের জন্য কার্যকরী। আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং হাঁপানির সমস্যা সমাধান করে। সূত্র : দ্য রিয়েল হেলদি থিং।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আদা লেবুর রস এবং মধুর টনিক

আপডেট টাইম : ১১:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বজুড়েই আতঙ্কের নাম এখন করোনাভাইরাস। তবে এটি বৈশ্বিক মহামারি হলেও এর আচরণ অনেকটা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর হতে পারে একটি প্রাকৃতিক টনিক। ঘরে বসেই খুব সহজে তৈরি করা যায় এই বিশেষ টনিক।

কিভাবে তৈরি করবেন : এই টনিকে তিনটি উপাদান রয়েছে- মধু, লেবু এবং আদা। এই তিনটি উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। এজন্য এগুলোকে শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়।
উপকরণ : ১ ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদার টুকরা, ১০০ মি.লি. পানি, ১০০ গ্রাম মধু ও ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস।
প্রস্তুতি : একটি চা কেটলিতে পানি ও আদা নিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন। তারপরে এগুলো একটি কাপে নিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর এতে মধু এবং লেবু মিশিয়ে মিশ্রনটি সারা রাত রেখে দিন। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, সকালে এই মিশ্রণটি খান এবং ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার : প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে মিশ্রনটি ৪ টেবিল চমাচ পরিমাণ পান করা উচিত। চিকিৎসাটি ৪০ দিনের জন্য পুনরাবৃত্তি করুন, তার পরে দু’সপ্তাহের বিরতি নিতে হবে এবং পরে আরও ৪০ দিন প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও সুস্থতা অনুভব করবেন। ঠান্ডা ও সর্দি-কাশির চিকিৎসায় এটি গরম করেও খাওয়া যেতে পারে।
মধু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে শক্তিশালী। এটিতে দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে ভাল কাজ করে। পুষ্টিবিদদের মতে মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুস পরিষ্কার করে। এটি গলার খুশখুশানিও দূর করে। লেবু ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, দু’টিই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম প্রদাহ, জীবাণু এবং ক্ষরণে লড়াই করে। লেবুতে থাকা এসিড রক্তচাপ এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ক্লান্তি এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। আদা নিঃসরণ দূর করতে কার্যকর। সাইনোসাইটিস এবং ফুসফুস পরিষ্কারের জন্য কার্যকরী। আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং হাঁপানির সমস্যা সমাধান করে। সূত্র : দ্য রিয়েল হেলদি থিং।