ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিডি২৪লাইভে সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ হয়ে গেল দৌলতদিয়া যৌনপল্লী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • ২৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশই চলছে আতংক। ইতি মধ্যে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে ফরিদপুরের শিবপুর। এপর্যন্ত বাংলাদেশে ১৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফরিদপুর ও মাদারীপুরের। করোনা ভাইরাসে বুধবার ঢাকায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে একটি অভিজাত হাসপাতালে। রাজশাহী থেকে সব দূর পাল্লার বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান তার অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে। ওয়াজ-মাহফিল, সভা-সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

বিভিন্ন স্থান ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে দেশের সবকটি যৌনপল্লী। এর অন্যতম দৌলতদিয়া যৌনপল্লী। বিডি২৪লাইভ ডট কমে ‘বন্ধ হতে পারে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কিছুক্ষন পরেই বন্ধ করে দেয়া হয় যৌনপল্লীটি। বিষয়টি বিডি২৪লাইভকে নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান। এবং তিনি জানান প্রশাসন থেকে জন প্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাময়ীকভাবে যৌনপল্লীটি বন্ধ করলেও প্রশাসনিকভাবে কতদিনের জন্য এটি বন্ধ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এবিষয় কথা হয় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলের সাথে। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সব সময় বিভিন্ন ধরনের লোকজন আসা যাওয়া করেন। কার শরীরে কী আছে কে জানে।

শুক্রবার রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সরকার সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা জনসমাবেশসহ সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করেছি।’

যৌনপল্লীতে এখনো মানুষ অবাধে বিচরণ করছে। যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত ১৫ দিনের জন্য যৌনপল্লীতে অবাধ বিচরণ বন্ধ করা হবে। সেক্ষেত্রে যৌনকর্মীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খুব দ্রুতই বন্ধ ঘোষণা করা হবে। চাল বরাদ্ধ পেলেই বন্ধ করা হবে বিচরণ।

সাময়িক বন্ধ চলাকালীন সময়ে যৌনকর্মীদের কোনো ঘর ভাড়াও দিতে হবে না বলে জানান এসপি মিজানুর রহমান । তিনি আরো বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মধ্যে যারা ঘর মালিক রয়েছেন তাদেরকেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে। যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিন কোনো ঘর মালিকই যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘর ভাড়া নিতে পারবে না।

বাংলাদেশে অনুমোদিত কয়েকটি পতিতালয়ের মধ্যে দৌলতদিয়া পতিতালয় একটি। ১৯৮৮ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত বলা হলেও উক্ত স্থানে বহুকাল আগে থেকেই পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বসবাস করতেন । বৃহত্তর এ যৌনপল্লীতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। এছাড়া এখানে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসা যাওয়া করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিডি২৪লাইভে সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ হয়ে গেল দৌলতদিয়া যৌনপল্লী

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশই চলছে আতংক। ইতি মধ্যে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে ফরিদপুরের শিবপুর। এপর্যন্ত বাংলাদেশে ১৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফরিদপুর ও মাদারীপুরের। করোনা ভাইরাসে বুধবার ঢাকায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে একটি অভিজাত হাসপাতালে। রাজশাহী থেকে সব দূর পাল্লার বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান তার অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে। ওয়াজ-মাহফিল, সভা-সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

বিভিন্ন স্থান ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে দেশের সবকটি যৌনপল্লী। এর অন্যতম দৌলতদিয়া যৌনপল্লী। বিডি২৪লাইভ ডট কমে ‘বন্ধ হতে পারে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কিছুক্ষন পরেই বন্ধ করে দেয়া হয় যৌনপল্লীটি। বিষয়টি বিডি২৪লাইভকে নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান। এবং তিনি জানান প্রশাসন থেকে জন প্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাময়ীকভাবে যৌনপল্লীটি বন্ধ করলেও প্রশাসনিকভাবে কতদিনের জন্য এটি বন্ধ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এবিষয় কথা হয় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলের সাথে। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সব সময় বিভিন্ন ধরনের লোকজন আসা যাওয়া করেন। কার শরীরে কী আছে কে জানে।

শুক্রবার রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সরকার সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা জনসমাবেশসহ সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করেছি।’

যৌনপল্লীতে এখনো মানুষ অবাধে বিচরণ করছে। যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপাতত ১৫ দিনের জন্য যৌনপল্লীতে অবাধ বিচরণ বন্ধ করা হবে। সেক্ষেত্রে যৌনকর্মীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খুব দ্রুতই বন্ধ ঘোষণা করা হবে। চাল বরাদ্ধ পেলেই বন্ধ করা হবে বিচরণ।

সাময়িক বন্ধ চলাকালীন সময়ে যৌনকর্মীদের কোনো ঘর ভাড়াও দিতে হবে না বলে জানান এসপি মিজানুর রহমান । তিনি আরো বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মধ্যে যারা ঘর মালিক রয়েছেন তাদেরকেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে। যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিন কোনো ঘর মালিকই যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘর ভাড়া নিতে পারবে না।

বাংলাদেশে অনুমোদিত কয়েকটি পতিতালয়ের মধ্যে দৌলতদিয়া পতিতালয় একটি। ১৯৮৮ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত বলা হলেও উক্ত স্থানে বহুকাল আগে থেকেই পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বসবাস করতেন । বৃহত্তর এ যৌনপল্লীতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। এছাড়া এখানে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসা যাওয়া করেন।