ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুক্রবারে সুরা কাহাফ পাঠ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • ২৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন হাদিসে সুরা কাহাফের সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত জুমার দিনে এ সুরা তেলাওয়াতের অনেক সওয়াবের কথা উল্লেখ রয়েছে। পাঠকারীর জন্য সুরা কাহাফ জান্নাতে যাওয়ার নুর (আলো) হবে বলেও আলোচনা এসেছে।

আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নুর (আলো) হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ২২২১)

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে। (মুসলিম, হাদিস : ৮০৯, আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২৩)

আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বেন তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং যে শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসাঈ, হাদিস : ১০৭২২)

বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার খুব কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। সকালে ওই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫০১১, ৩৬১৪; মুসলিম, হাদিস : ৭৯৫) নাওয়াস ইবনে সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পাবে, সে যেন সুরা কাহাফের শুরুর অংশ পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২১; তিরমিজি, হাদিস : ২২৪১)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শুক্রবারে সুরা কাহাফ পাঠ

আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন হাদিসে সুরা কাহাফের সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত জুমার দিনে এ সুরা তেলাওয়াতের অনেক সওয়াবের কথা উল্লেখ রয়েছে। পাঠকারীর জন্য সুরা কাহাফ জান্নাতে যাওয়ার নুর (আলো) হবে বলেও আলোচনা এসেছে।

আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নুর (আলো) হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ২২২১)

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে। (মুসলিম, হাদিস : ৮০৯, আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২৩)

আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বেন তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং যে শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসাঈ, হাদিস : ১০৭২২)

বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার খুব কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। সকালে ওই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫০১১, ৩৬১৪; মুসলিম, হাদিস : ৭৯৫) নাওয়াস ইবনে সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পাবে, সে যেন সুরা কাহাফের শুরুর অংশ পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২১; তিরমিজি, হাদিস : ২২৪১)