হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ব অর্থনীতিতে রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে কভিড-১৯। অভূতপূর্ব এক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক শিল্পোৎপাদন খাত। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির রথী-মহারথী সব দেশেরই উৎপাদন খাত এখন পুরোপুরি ধরাশায়ী। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে পুঁজি, মুদ্রা ও পণ্যবাজার। অর্থনৈতিক এ মহাদুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিজ নিজ দেশের আর্থিক খাত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সর্বোপরি নিজ জনগণকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে প্রণোদনামূলক নানা পদক্ষেপ। যদিও এ করোনা সুনামির ঢেউয়ের আঘাত কীভাবে সামাল দেবে বাংলাদেশ, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
৮০টিরও বেশি দেশ এরই মধ্যে আংশিক বা পূর্ণভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। লকডাউনে রয়েছে এর অধিকাংশই। পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত চালু থাকলেও বিদেশীদের ঢুকতে দিতে চাচ্ছে না কেউই। বৈশ্বিক পর্যটন, শিল্পোৎপাদন, সেবা ও আর্থিক খাতকে পুরোপুরি তলানিতে এনে ফেলেছে নভেল করোনাভাইরাস।
চলমান মন্দা কাটাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো নানা অর্থনৈতিক প্রণোদনা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। এরই মধ্যে মার্কিন অর্থনীতিকে বাঁচাতে স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে ৮৫ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি প্যাকেজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে শুধু ৩০ হাজার কোটি ডলার দেয়া হবে এয়ারলাইনস খাত ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে। দুর্যোগকালীন ভাতা হিসেবে নগদ ও করছাড়ের আকারে ৫০ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা পাবে মার্কিন জনগণ। বিকালের মধ্যেই এ প্যাকেজ পরিকল্পনার আয়তন বেড়ে ১ লাখ কোটি ডলারের বেশি হচ্ছে বলে জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) স্টিভেন মানিউচিন। পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন না করা গেলে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মহীনতার হার বেড়ে ২০ শতাংশে দাঁড়াবে বলে শঙ্কিত মার্কিন অর্থমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও গতকাল দেশটির নাগরিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৮ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাজ্যও। দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এরই মধ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩৩ হাজার কোটি পাউন্ড (৪০ হাজার কোটি ডলার) ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। সাড়ে ৪ হাজার কোটি ইউরোর (৫ হাজার কোটি ডলার) সহায়তা প্যাকেজ হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইংলিশ চ্যানেলের ওপারের দেশ ফ্রান্সও।
পিছিয়ে নেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও। করোনাভাইরাস আক্রান্ত অর্থনীতিকে মন্দার হাত থেকে বাঁচাতে নীতি ও রাজস্ব সহায়তা নিয়ে নিজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে কাতার। এরই মধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে দেশটি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় খাতগুলোর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে ব্যক্তি খাত বরাদ্দ পেয়েছে ২ হাজার ৬০ কোটি ডলার। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ২৭৫ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতকে পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য জোগান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কম-বেশি সব দেশই এখন রুগ্ণ অর্থনীতিকে বাঁচাতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে। তার পরও পরিস্থিতি কবে নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে, সে বিষয়ে সন্দিহান সবাই। আস্থা পাচ্ছেন না বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরাও। বিশ্ববাজারের প্রতিদিনের চিত্র এখন বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্যোগগ্রস্ততারই প্রতিফলন।
চলমান পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিটি দিনকে করে তুলেছে নরকসম। গতকালও ফ্রাংকফুর্ট, লন্ডন ও প্যারিসসহ গোটা ইউরোপের শেয়ারবাজার সূচকের পতন হয়েছে ৫ শতাংশের বেশি। একই মাপের ধসের মধ্য দিয়ে গেছে এশীয় শেয়ারবাজারও। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দিনব্যাপী লেনদেন শুরু হতে না হতে ডাও জোনস সূচকের পতন ঘটে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
ধস নেমেছে জ্বালানি তেলের বাজারেও। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক দুই বাজার আদর্শ ডব্লিউটিও এবং ব্রেন্টের দাম নেমে এসেছে কয়েক বছরের সর্বনিম্নে, ব্যারেলপ্রতি যথাক্রমে ২৭ ও ২৫ ডলারে। একই দশা মুদ্রাবাজারেরও।
এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই নানামুখী সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকের রফতানি এখন নিম্নমুখী। ঘাটতি কাটাতে পারছে না রাজস্ব খাত। খেলাপি ঋণের চাপ ও তারল্য সংকটের কারণে আর্থিক খাতের দশাও বেহাল। বিদেশী বিনিয়োগও আসছে না কাঙ্ক্ষিত হারে। কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়লেও বিপণন ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে দুর্বলতা কাটানো যায়নি। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে রেমিট্যান্সের বৃহত্তম উৎস মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় ধরনের শঙ্কা। কারণে-অকারণে অস্থির হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। এসব সমস্যার মধ্যেই এখন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস।
এখন পর্যন্ত আক্রান্তের হার কম হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার বড় আঘাত এসেছে অনেক আগেই। পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে দেশের শীর্ষ আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্সের বাজারগুলো। প্রতিনিয়ত বাতিল হচ্ছে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রফতানি আদেশ। আগে থেকেই বিপর্যস্ত ছিল পুঁজিবাজার। করোনার অভিঘাতে ক্রমাগত রক্তক্ষরণের ধারাবাহিকতায় এখন তা নির্জীব হয়ে পড়েছে পুরোপুরি।
এ পরিস্থিতি কাটানোয় এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে সুদহার নামিয়ে এনেছে প্রায় শূন্যে। কমিয়েছে অন্যান্য দেশও। অন্যদিকে বাংলাদেশ এ পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট বা আবছা—কোনো ধারণাও পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ব্যাংকিং খাত এমনিতেই খেলাপি ঋণের ভারে বিপর্যস্ত। এখন করোনার ধাক্কায় অনেক শিল্প খাতই নতুন করে খেলাপির ঝুঁকিতে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব সহায়তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও নীতিসহায়তা দিতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক সভাপতি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে রাজস্ব ও নীতিসহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে নীতিসুদহার কমিয়েছে। বাংলাদেশেও এ সুদহার (রেপো) ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করতে হবে। সরকার ঘোষিত বাজেট কাঠামো পুনর্গঠন করে কিছু খাতের রাজস্ব কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
অর্থনীতির এ দুর্বিপাক মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংককেই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, আইলা বা বন্যার মতো প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের পর বিশেষ এলাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণের সুদ মওকুফ কিংবা ঋণের কিস্তি পরিশোধে তিন-ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সে অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে পারে। করোনা বৈশ্বিক অর্থনীতিতেই সুনামি নিয়ে এসেছে, এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের শিল্প খাতের জন্যও নীতিসহায়তার প্রয়োজন হবে। তবে নীতিসহায়তা ঢালাওভাবে না হয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা খাতের জন্য হলে সেটি মঙ্গল বয়ে আনবে। অন্যথায় সুযোগের অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
তিনি বলেন, সরকারকেও রাজস্ব সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। রাজস্ব নীতিতেও পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। সবার আগে যেটি প্রয়োজন, সেটি হলো পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ন ও ক্ষতি উত্তরণের রূপরেখা প্রণয়ন।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো তারল্যের জোগান দিতে সক্ষম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগযোগ্য তারল্য ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। দেশের সিংহভাগ ব্যাংকেরই এডি রেশিও নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে।
যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগেই বিনিয়োগ খরায় ভুগছিল দেশের বেসরকারি খাত। জানুয়ারিতে ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশে। নিম্নমুখী এ ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই দশকের মধ্যেই সর্বনিম্ন। বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগেও এ প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে সক্ষম হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা একটা আকস্মিক ও অভূতপূর্ব ঘটনা। এর জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার সময় পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতাও খুব সীমিত। অনেক উন্নত দেশও যেখানে হিমশিম খেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের সমস্যা হওয়ারই কথা। তার পরও একটা চেষ্টা হচ্ছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার। তবে এ বিষয়টি মূলত ব্যবস্থাপনার। আমদানি-রফতানির বাজার এরই মধ্যে ব্যাহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেটি নিয়ন্ত্রণে, সেটি হলো অভ্যন্তরীণ বাজার। এ বাজারের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই হারানো যাবে না। বৈশ্বিক বাজারের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।
তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়া। প্রভাবটা কম তখনই হবে, যখন কভিড-১৯-এর নিয়ন্ত্রণটা ভালো হবে। যদি ভালো না হয়, তাহলে প্রভাবটা প্রকট হবে। প্রভাব পড়বেই কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করছে আমাদের সামর্থ্যের ওপর।
ড. কে এ এস মুরশিদ বলেন, আমাদের সক্ষমতা যতটুকু, ততটুকুই আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে আমাদের সক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করতে পারলেই আমরা লাভবান হব। আমাদের সীমাবদ্ধতা আমরা জানি, কিন্তু এ সীমাবদ্ধতা নিয়েই স্বচ্ছ ও শক্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
বিষয়টি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশের শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদেরও। এ নিয়ে এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, এখানে বড় বিষয় হলো আমাদের ৪০ লাখ শ্রমিক। যদি দুদিন পর কাজ না থাকে, বন্ধ হয়ে যায়, তখন এরা কীভাবে চলবে? ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের অর্থনীতিতে কী হবে তা বলতে পারব না, তবে আমাদের রফতানি খাতে একটা ঝড় বয়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তাদের নিজস্ব তাগিদে সম্ভব হবে না।
তবে করোনা মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সচিবালয়ে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে আছে, সেই ভাইরাস থেকে মুক্ত আছি বলতে পারব না।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের সদস্য দেশগুলোকে করোনা মোকাবেলায় সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা যখন অর্থছাড় করবে, তখন আমরাও পাব। তবে আমরা সে অর্থের আশায় বসে থাকব না। নিজস্ব তহবিল দিয়েই এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে।