হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋতু পরিবর্তন আমাদের শরীরেও নানাভাবে প্রভাব ফেলে। তবে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হতে হয় ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে। অনেক সময় এসব সমসস্যায় গলার ভেতরে খুব ব্যথা হয়। এসময় কথা বলতে অথবা ঢোক গিলতে গেলেই খুব কষ্ট হয়।
সাধারণত টনসিলে ইনফেকশনের কারণে এই ব্যথা হয়ে থাকে। মূলত ঠান্ডা লাগলেই টনসিলে সংক্রমণ হয়। ছোট থেকে বড় সবাই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। যদিও টনসিলের ব্যথা কমাতে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। তবে ভুলে গেলে চলবে না ওষুধের ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তাই ঘরোয়া উপায়ে সমস্যার সমাধান করাই শ্রেয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ওষুধ ছাড়াই টনসিলের ব্যথা দূর করার পাঁচ উপায়…
হলুদ দুধ
এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। কারণ, ছাগলের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে সেটিকে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরী, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান। যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রামণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
লবণ পানি
গলা ব্যথা হলে আমরা প্রায় সবাই সামান্য উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে গার্গল করি। লবণ পানি টনসিলের সংক্রামণ রোধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের আশঙ্কাও অনেক কমিয়ে দেয়।
লেবুর রস ও মধু
২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলা ব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি সেবন করুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি খুবই কার্যকরী।
আদা চা
দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর আন্দাজ মতো চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এটি পান করুন। আদা-তে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান সংক্রামণে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
গ্রিন টি ও মধু
৩ কাপ পানিতে আধ চা চামচ গ্রিন টি ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দশ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে তিনবার এই চা পান করুন। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, শরীরকে জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান টনসিলে সংক্রমণ ঠেকায়।