হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বর-কনেবাহী দুটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ থাকা শিশু রুবাইয়া আক্তার স্বর্ণার (১৩) লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে রবিবার দুপুরে রাজশাহীর লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চের সামনে পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে তার লাশ উঠে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করে।
এ নিয়ে এই দুর্ঘটনার পর নদী থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হলো। এছাড়া গত শুক্রবার রাতে নৌকাডুবির পরই এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখনো কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা (১৬) ও তার খালা আঁখি খাতুন (২৫) নিখোঁজ রয়েছেন।
সর্বশেষ মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু রুবাইয়া কনে পূর্ণিমার ফুফাতো বোন। এছাড়া আরও যাদের লাশ পাওয়া গেছে তারা হলেন- পূর্ণিমার চাচা শামীম হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী মনি খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে রশ্নি খাতুন (৭), কনের খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২৮), দুলাভাই রতন আলী (৩০) এবং তার মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৬)।
কনে পূর্ণিমা রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহিন আলীর মেয়ে। দেড় মাস আগে পদ্মার ওপারে একই উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের ইনসার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রুমনের (২৬) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু তখন অনুষ্ঠান হয়েছিল না। তাই গত বৃহস্পতিবার কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরপক্ষ কনেকে সেদিন চরে নিয়ে যায়। প্রথা অনুযায়ী, পরদিন শুক্রবার কনেপক্ষের লোকজন বর এবং কনেকে আবার কনের বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন। তখন রাত ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে মাঝপদ্মায় দুটি নৌকায় ডুবে যায়। দুটি নৌকায় প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। নৌকাডুবির পর ছোট আরেকটি নৌকা এবং বালুবাহী একটি ট্রলার ভাসমান মানুষদের উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, ডুবে যাওয়া নৌকা দুটিই উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো কনেসহ দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ এবং বিজিবিও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।