ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় নৌকাডুবিতে আরও এক লাশ উদ্ধার, কনেসহ কয়েকজন নিখোঁজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
  • ২১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বিয়েবাড়ির দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম মনি খাতুন। তিনি কনের চাচি।

শনিবার সকালে জেলার চারঘাট এলাকায় বোরকা পরা ওই নারীর লাশ নদীতে ভেসে ওঠে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের চারঘাট স্টেশনের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করেন।

মনিকে নিয়ে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় মোট দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।

গতকালের নৌকাডুবির ওই ঘটনায় এখনো কনেসহ বেশ কয়েকজন নিখাঁজ রয়েছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। স্পিডবোট নিয়ে ঘুরছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি)।

এদিকে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাঁচ সদস্যের একটি দল।

রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে মাঝপদ্মায় যেখানে নৌকা দুটি ডুবেছে সেখানেই তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। কিছুটা দূরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ভাটিতে চারঘাট এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

পদ্মা নদীর ওপারে রাজশাহীর পবা উপজেলার চরখিদিরপুরে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার বর-কনেকে নিয়ে এপারে ফিরছিলেন কনেপক্ষের স্বজনরা। রাত ৭টার দিকে মাঝপদ্মায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। এরপর বরসহ ১২জন উদ্ধার হন। এদের মধ্যে এক শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত নয় ফায়ার সার্ভিস। কনের বাড়ি রাজশাহী শহর সংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকায়।

উদ্ধার হওয়ার পর রানা নামের এক যুবকের ভাষ্যমতে, দুটি নৌকা পাশাপাশি আসছিলো। প্রথমে একটি নৌকার তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় এই নৌকার যাত্রীদের অপর আরেকটি নৌকায় নেয়া হচ্ছিল। তখন অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ওই নৌকাটিও ডুবে যায়। এখনও অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করছেন রানা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ শনিবার সকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, নিখোঁজের সংখ্যা কেউ বলছেন ৩০ জন, আবার কেউ বলছেন ৩৫। আসলে কতজন যে নিখোঁজ হয়েছেন তা আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। একটা রাত যেহেতু পার হয়ে গেছে এখন নদীর ভাটিতে লাশ ভেসে উঠবে। সে জন্য ভাটিতেও আমাদের দল কাজ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পদ্মায় নৌকাডুবিতে আরও এক লাশ উদ্ধার, কনেসহ কয়েকজন নিখোঁজ

আপডেট টাইম : ১০:২৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বিয়েবাড়ির দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম মনি খাতুন। তিনি কনের চাচি।

শনিবার সকালে জেলার চারঘাট এলাকায় বোরকা পরা ওই নারীর লাশ নদীতে ভেসে ওঠে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের চারঘাট স্টেশনের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করেন।

মনিকে নিয়ে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় মোট দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।

গতকালের নৌকাডুবির ওই ঘটনায় এখনো কনেসহ বেশ কয়েকজন নিখাঁজ রয়েছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। স্পিডবোট নিয়ে ঘুরছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি)।

এদিকে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাঁচ সদস্যের একটি দল।

রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে মাঝপদ্মায় যেখানে নৌকা দুটি ডুবেছে সেখানেই তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। কিছুটা দূরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ভাটিতে চারঘাট এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

পদ্মা নদীর ওপারে রাজশাহীর পবা উপজেলার চরখিদিরপুরে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার বর-কনেকে নিয়ে এপারে ফিরছিলেন কনেপক্ষের স্বজনরা। রাত ৭টার দিকে মাঝপদ্মায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। এরপর বরসহ ১২জন উদ্ধার হন। এদের মধ্যে এক শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত নয় ফায়ার সার্ভিস। কনের বাড়ি রাজশাহী শহর সংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকায়।

উদ্ধার হওয়ার পর রানা নামের এক যুবকের ভাষ্যমতে, দুটি নৌকা পাশাপাশি আসছিলো। প্রথমে একটি নৌকার তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় এই নৌকার যাত্রীদের অপর আরেকটি নৌকায় নেয়া হচ্ছিল। তখন অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ওই নৌকাটিও ডুবে যায়। এখনও অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করছেন রানা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ শনিবার সকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, নিখোঁজের সংখ্যা কেউ বলছেন ৩০ জন, আবার কেউ বলছেন ৩৫। আসলে কতজন যে নিখোঁজ হয়েছেন তা আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। একটা রাত যেহেতু পার হয়ে গেছে এখন নদীর ভাটিতে লাশ ভেসে উঠবে। সে জন্য ভাটিতেও আমাদের দল কাজ করছে।