ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুনেই কোরআন মুখস্ত করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জামাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
  • ১৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জামাল উদ্দীন। স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। দেখতে পারেন না দু’চোখেই। চোখে দেখতে না পেলেও স্থানীয় এক মাওলানার নিকট থেকে শুনে শুনে মুখস্ত করেছেন পবিত্র কোরআন শরীফ।

নওগাঁর সীমান্ত উপজেলা পোরশার নিতপুর ইউনিয়নের কুলাডাংগা গ্রামের দরিদ্র ইউছুফ আলীর ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে জামাল দ্বিতীয়।

মসজিদের ঈমাম হিসেবে চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। দৃষ্টি না থাকায় ইমাম পদের চাকরি টেকেনি বেশীদিন। চাকরি চলে যাওয়ার পর সংসার চালানোর জন্য জমানো টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে শুরু করেন পশু পালন।

এতেও সুবিধা না করতে পেরে শুরু করেছেন বয়লার মুরগীর ব্যবসা। বর্তমানে এ ব্যবসা থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলছে তার। জামালের সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত তথ্য গুলি জানান।

তিনি আরো জানান, তার বাবার ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার বড় ভাই প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তার ভাগ্যে আজও জোটেনি কোনো ভাতা। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন, আক্ষেপও নেই। বরং শরীরে খেটে পরিশ্রম করে রোজগার করতে পছন্দ করেন।

প্রতিবন্ধী হয়ে সমাজে বোঝা হয়ে থাকতে চান না তিনি। নিজে খেটে উপার্জন করা অনেক সম্মানের কাজ বলে তিনি মনে করেন। আর এ জন্যই তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে বিশেষ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নিশ্চিত করার আবেদন জানান এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শুনেই কোরআন মুখস্ত করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জামাল

আপডেট টাইম : ১১:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জামাল উদ্দীন। স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। দেখতে পারেন না দু’চোখেই। চোখে দেখতে না পেলেও স্থানীয় এক মাওলানার নিকট থেকে শুনে শুনে মুখস্ত করেছেন পবিত্র কোরআন শরীফ।

নওগাঁর সীমান্ত উপজেলা পোরশার নিতপুর ইউনিয়নের কুলাডাংগা গ্রামের দরিদ্র ইউছুফ আলীর ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে জামাল দ্বিতীয়।

মসজিদের ঈমাম হিসেবে চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। দৃষ্টি না থাকায় ইমাম পদের চাকরি টেকেনি বেশীদিন। চাকরি চলে যাওয়ার পর সংসার চালানোর জন্য জমানো টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে শুরু করেন পশু পালন।

এতেও সুবিধা না করতে পেরে শুরু করেছেন বয়লার মুরগীর ব্যবসা। বর্তমানে এ ব্যবসা থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলছে তার। জামালের সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত তথ্য গুলি জানান।

তিনি আরো জানান, তার বাবার ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার বড় ভাই প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তার ভাগ্যে আজও জোটেনি কোনো ভাতা। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন, আক্ষেপও নেই। বরং শরীরে খেটে পরিশ্রম করে রোজগার করতে পছন্দ করেন।

প্রতিবন্ধী হয়ে সমাজে বোঝা হয়ে থাকতে চান না তিনি। নিজে খেটে উপার্জন করা অনেক সম্মানের কাজ বলে তিনি মনে করেন। আর এ জন্যই তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে বিশেষ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নিশ্চিত করার আবেদন জানান এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চান।