হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের প্রথম বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে শিলাবৃষ্টির পরিমান অল্প হওয়ায় তার ব্যাপকতা নেই। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হয়েছে। এ সময় বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়াও।
এ সময় মহানগরীসহ আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকেল ৫টার পর থেকে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বৃষ্টিতে শহরের সাহেব বাজার ও গণকপাড়াসহ অনেক নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এ সময় অফিস ফেরত মানুষজনকে বাড়ি ফিরতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, ঝড় বয়ে গেলেও এটি কালবৈশাখী নয়। সাধারণত বাতাসের গতিবেগ ২০ নটিকেল মাইল হলে তাকে কালবৈশাখী বলা হয়। কিন্তু বুধবার ঝড়ের সময় রাজশাহীতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল মাত্র আট নটিকেল মাইল। অর্থাৎ এটি কালবৈশাখী নয়। মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
এটি মৌসুমী ঝড়-বৃষ্টিপাত। ফাল্গুন ও চৈত্র-বৈশাখ মাসে এটা স্বাভাবিক। এজন্য এই মৌসুমকে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমও বলা হয়। রাজশাহীর তাপমাত্রা এখন বাড়ছেই।
বুধবার দুপুরে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি চলে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় রাজশাহীতে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বিকেল ৩টায় ছিল ৫৭ শতাংশ জানান রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি স্থানে এবং খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের এক বা দুই স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী এবং বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, এই ঝড়-বৃষ্টিতে আমের মুকুলের তেমন ক্ষতি হবে না।