অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের অনুষ্ঠান। অথচ সেখানে উপস্থিত কুমার সাঙ্গাকারা, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। পুরো অনুষ্ঠানের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন তারা তিনজনই। বিশেষ করে বললে, মুস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বকাপের ট্রফি উম্মোচন থেকে শুরু করে সূচি ঘোষণা- সব জায়গাতেই মধ্যমনি হয়ে থাকলেন তারা। তাদের দিয়েই বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করলো আইসিসি।
আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশেই বসতে যাচ্ছে যুব বিশ্বকাপ খ্যাত, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট। শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি। শেষ গবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার- এই চারটি শহরেই অনুষ্ঠিত হবে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মোট ৪৮টি ম্যাচ। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টুর্নামেন্ট সূচি এবং এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানানো হয় আজ আয়োজক বিসিবি এবং আইসিসির পক্ষ থেকে।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দিনেরে বেলায়। খেলা শুরু হবে সকাল ৯টা ৩০মিনিটে।
cricket
৪টি শহরে হলেও মোট ৮টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে যুবাদের বিশ্বকাপ। ১৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে। এবারই প্রথম যুবাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। খেলা দেখা যাবে স্টার স্পোর্টসে।
সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জেফ অ্যালারডাইস বলেন, ‘আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট এমন এক আসর যা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দেরকে শুরু থেকেই বিশ্বমানের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করে। অসংখ্য খেলোয়াড় এই আসরের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছেন এবং খুব দ্রুতই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন।’
স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অতীতে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করেছে এবং এদেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি ভক্তি-ভালোবাসা এবং আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা কারণে আগের সবগুলো আসরই ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছে।’অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও।
mustafiz
বিশ্বকাপে ১৬টি দল ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে পরস্পরের মুখোমুখি হবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল খেলবে সুপার লিগে। বাকি দুটি দল প্লেট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করবে। ১০টি টেস্ট প্লেয়িং দেশ ছাড়াও ৬টি অ্যাসোসিয়েট এবং অ্যাফিলিয়েট সদস্য অংশ নিচ্ছে এই বিশ্বকাপে। টেস্ট প্লেইং ১০টি দেশ ছাড়া বাকিরা হচ্ছে আফগানিস্তান, কানাডা, ফিজি, নামিবিয়া, নেপাল এবং স্কটল্যান্ড। তারা সবাই নিজেদের আঞ্চলিক কোয়ালিফায়িং রাউন্ড পার হয়ে করে এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে।
অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ১৯৮৮, ২০০২ ও ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া, ২০০০, ২০০৮ ও ২০১২ সালে ভারত, ২০০৪ ও ২০০৬ সালে পাকিস্তান, ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ড এবং ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন হয়।