হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক বর্জ্য পরিশোধিত হয় এর মাধ্যমে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে বড় একটি রোগ হলো কিডনিতে পাথর।
কিডনিতে পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না। তাই কিডনির পাথরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানতে পারলে বুঝা যায় পাথর কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ
>> কোমরের পেছন দিকে ব্যথা হওয়া। এ ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
>> রক্তবর্ণের প্রস্রাব।
>> বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
কিডনিতে পাথর জমার কারণ
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন :
>> বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা।
>> অত্যধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
>> শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন
>> কিডনি পাথরের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
>> কখনও প্রস্রাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। প্রস্রাবের বেগ এলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাব করার।
>> পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার খান।
>> দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।
>> বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিত্সা
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রস্রাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটি চিন্তা করেন। একটি হলো- কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম এবং প্রস্রাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়।