হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরুষ ও নারী উভয়ের দেহের হাড়ের ঘনত্ব সাধারণত ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়তে থাকে। যা স্থায়িত্ব ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত বজায় থাকে। এরপর থেকে হাড়ক্ষয় শুরু হয়। তবে ৫০ বছরের পর থেকে হাড়ক্ষয়ের রোগটি বেশি দেখা দেয়।
দেখা যায়, যাদের হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি থাকে তাদের হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত কমতে থাকে। এক্ষেত্রে নারীদের মাসিক-পরবর্তী সময়ে হাড়ক্ষয়ের গতি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর জন্য দায়ী। আবার ওজন বৃদ্ধির ফলেও হাড়ক্ষয় বাড়তে পারে। তবে এমন ছয়টি জাদুকরী খাবার আছে যা হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করে। চলুন জেনে নেয়া যাক সে খাবারগুলো সম্পর্কে-
> হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করতে কাজুবাদাম খুবই কার্যকরী। কাজুবাদামে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ক্যালসিয়াম। এসব পুষ্টি উপাদান শুধু হাড়ই শক্ত করে না, সঙ্গে স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
> নিয়মিত টক দই খেলেও শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই হাড় মজবুত করতে টক দই খেতে পারেন।
> দুধ ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। প্রতি এক কাপ দুধে দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদার ৩০ ভাগ পূরণ হয়। তাই হাড় শক্তিশালী করতে দুধ খেতে পারেন। এছাড়া দুধে থাকা ভিটামিন ডি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
> দৈহিক সুস্থতায় সবুজ শাক-সবজি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া হাড় শক্তিশালী করতে সবুজ শাকসবজি জাদুর মতো কাজ করে। বাঁধাকপি আর ঢেঁড়সে থাকা পুষ্টি ও ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। এ সবজিগুলো দিয়ে তৈরি সালাদ, স্যুপ, স্ট্র হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভুমিকা রাখে।
> পনির ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস। নিয়মিত ৪০ গ্রাম পনির খেলে দিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদার ৩০ শতাংশেরও বেশি পূরণ হয়।
> এছাড়া সূর্যের আলো হাড়ক্ষয় রোধের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর একটি ভালো উৎস। তাই সূর্যের আলো গায়ে লাগান। এতে সুস্থ থাকবেন।