ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিডনি বিকলের আগাম লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৯৫ বার

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। শরীরের সব বর্জ্য পদার্থের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে কিডনি। জীবনযাত্রায় অনিয়ম, পানি কম খাওয়াসহ নানা বদঅভ্যাসের কারণে কিডনি তার কার্যকারিতা হারাতে বসে।

কিডনি সংক্রমিত হওয়ার পাশপাশি মূত্রনালির সংক্রমণও দেখা দেয়। তবে কিডনি সংক্রমণের কয়েকটি লক্ষণ প্রথম থেকে শরীরে প্রকাশ পায়। যেগুলো হেলাফেলা করা মোটেও উচিত নয়। জেনে নিন কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণসমূহ-

এসময় জ্বর, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, পিঠে বা পেটের যেকোনো এক পাশে ব্যথা, কুঁচকিতে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ, প্রস্রাবের রং গাঢ় ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া বা রক্তও ​বের হতে পারে।

যদি এমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে অনেকেই ভাবেন বেশি করে পানি খেলেই বোধ হয় ঠিক হয়ে যাবে। বিষয়টি কিন্তু এতোটা সহজ নয়। এসব লক্ষণের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এতে করে আপনার কিডনি দু’টোর সুস্বাস্থ্য পুনরায় ফিরে পেতে পারেন।

যদিও ঘরোয়া বিভিন্ন উপায়ে কিডনির সংক্রমণ কমিয়ে তা বিকলের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। তবে প্রথমত, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করিয়ে কিডনির সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। এর পাশাপাশি ঘরোয়া এসব টোটকা মানতে পারেন-

১. প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে করে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। এর ফলে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের বিষাক্ত সব উপাদান বেরিয়ে আসবে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস করে পানি পান করুন।

২. ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। কারণ এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদানটি শরীরের বিভিন্ন কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেয়, ফলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিডনি ইনফেকশন থেকে বাঁচাতে পারে ভিটামিন সি।

৩. জানেন তো? প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। আপেলের রসে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ রয়েছে যা কিডনির সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে। পাশাপাশি মূত্রনালির সংক্রমণও দূর করতে পারে আপেলের গুণাগুণ।

৪. পেটে ব্যথার কারণে অ্যাস্পিরিন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণে বিরত থাকুন। ব্যথা কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো গরম সেঁক দেয়া।

৫. ধনেপাতার রস কিডনিতে থাকা ব্যাকটেরিয়াসমূহকে ধ্বংস করতে পারে। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক ও মূত্রনালির সমস্যা থেকে নিস্তার মেলে ধনেপাতার গুণাগুণে। এতে প্রচুর পরিমাণে ইনফ্লেমেটরি উপাদনসমূহ রয়েছে। যা কিডনির সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিডনি বিকলের আগাম লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। শরীরের সব বর্জ্য পদার্থের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে কিডনি। জীবনযাত্রায় অনিয়ম, পানি কম খাওয়াসহ নানা বদঅভ্যাসের কারণে কিডনি তার কার্যকারিতা হারাতে বসে।

কিডনি সংক্রমিত হওয়ার পাশপাশি মূত্রনালির সংক্রমণও দেখা দেয়। তবে কিডনি সংক্রমণের কয়েকটি লক্ষণ প্রথম থেকে শরীরে প্রকাশ পায়। যেগুলো হেলাফেলা করা মোটেও উচিত নয়। জেনে নিন কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণসমূহ-

এসময় জ্বর, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, পিঠে বা পেটের যেকোনো এক পাশে ব্যথা, কুঁচকিতে ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ, প্রস্রাবের রং গাঢ় ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া বা রক্তও ​বের হতে পারে।

যদি এমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় তবে অনেকেই ভাবেন বেশি করে পানি খেলেই বোধ হয় ঠিক হয়ে যাবে। বিষয়টি কিন্তু এতোটা সহজ নয়। এসব লক্ষণের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এতে করে আপনার কিডনি দু’টোর সুস্বাস্থ্য পুনরায় ফিরে পেতে পারেন।

যদিও ঘরোয়া বিভিন্ন উপায়ে কিডনির সংক্রমণ কমিয়ে তা বিকলের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। তবে প্রথমত, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করিয়ে কিডনির সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। এর পাশাপাশি ঘরোয়া এসব টোটকা মানতে পারেন-

১. প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে করে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। এর ফলে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের বিষাক্ত সব উপাদান বেরিয়ে আসবে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস করে পানি পান করুন।

২. ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। কারণ এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদানটি শরীরের বিভিন্ন কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেয়, ফলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিডনি ইনফেকশন থেকে বাঁচাতে পারে ভিটামিন সি।

৩. জানেন তো? প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। আপেলের রসে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ রয়েছে যা কিডনির সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে। পাশাপাশি মূত্রনালির সংক্রমণও দূর করতে পারে আপেলের গুণাগুণ।

৪. পেটে ব্যথার কারণে অ্যাস্পিরিন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণে বিরত থাকুন। ব্যথা কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো গরম সেঁক দেয়া।

৫. ধনেপাতার রস কিডনিতে থাকা ব্যাকটেরিয়াসমূহকে ধ্বংস করতে পারে। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক ও মূত্রনালির সমস্যা থেকে নিস্তার মেলে ধনেপাতার গুণাগুণে। এতে প্রচুর পরিমাণে ইনফ্লেমেটরি উপাদনসমূহ রয়েছে। যা কিডনির সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।