হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রযুক্তির বিপ্লব চলছে বিশ্বজুড়ে। কে কত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে, লড়াই তা নিয়েই। তাইতো ফাইভ-জি’র পর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সিক্স-জি নেটওয়ার্কিং পরিষেবা উৎপাদন করতে কাজ করছেন গবেষকরা। ফাইভ-জি কেমন হবে তা অনেকেরই জানা। এবার প্রশ্ন আসতেই পারে, সিক্স-জি কী এবং কেমন হবে?
সিক্স-জি নিয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে খানিকটা ধারণা দিয়েছে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। জানা যায়, সিক্স-জি মানুষের গণনার গতির হারে বেতার সংকেত প্রেরণের দক্ষতা অর্জন করবে। এছাড়াও রিমোট কন্ট্রোল রোবট এবং মানুষের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপগুলোর কাজ সিক্স-জি স্মার্টফোনের মাধ্যমে সক্ষম হতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের পরিবেশে যত বিস্ফোরক বা বিষাক্ত রাসায়নিক আছে, তা সিক্স-জি’র মাধ্যমে পরীক্ষা করা যাবে। রেষ্টুরেন্টে বসে খাবার খাওয়ার সময়ও কাজে লাগাতে পারবেন এ প্রযুক্তি। নির্দিষ্ট ফিচার ব্যবহার করে জানতে পারবেন আপনার সামনে থাকা খাবার কতটা নিরাপদ। অন্ধকারে আপনি যা দেখবেন, তারচেয়েও ভালো ছবি তুলতে সক্ষম এ প্রযুক্তি। সিক্স জি উচ্চ নির্দেশক অ্যান্টেনা ব্যবহার করতে সক্ষম হবে যা দুর্দান্ত কাভারেজ দেবে।
২০৩০ সালে বিশ্ব সিক্স-জি যুগে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের। সিক্স-জির গতি হবে ফাইভ-জির চেয়ে ৮ হাজার গুণ বেশি। সেই হিসাবে সিক্স-জির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট। সিক্স-জি ফোনগুলো আপনার চারপাশের মানচিত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে। ফোনে দিকনির্দেশক হিসেবে কিংবা আপনার পাশের ঘরে কেউ আছে কি-না তাও জানতে পারবে বলে ধারণা গবেষকদের।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় এরইমধ্যে চালু হয়েছে পঞ্চম প্রজন্মের মুঠোফোন নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি। ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি ফাইভ-জি গ্রাহক তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চালকবিহীন গাড়ি, ড্রোন, ইন্টারনেট অব থিংসসহ নানা প্রযুক্তিও এগিয়ে যাবে ফাইভ-জির সুবাদে। সিক্স-জি চালু হলে সুবিধার মাত্রা আরো বাড়বে, তা তো বলাই যায়।