হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৮.৮ মিলিয়ন মৃত্যুর জন্য দায়ী এই ক্যান্সার।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালে সারাবিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৪.৫ মিলিয়ন। আর ২০২৪ সালে এটি প্রায় ১৯ মিলিয়নে উন্নীত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি আগামী দুই দশকের মধ্যে নতুন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ মিলিয়নে উন্নীত হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানেন কি? ক্যান্সারে আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তাদের অনিয়মিত জীবনযাপন আর খাদ্যাভাসের জন্য হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু অভ্যাস আপনার শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
চলুন তবে জেনে নেই সে অভ্যাসগুলো-
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান:
গবেষণায় অ্যালকোহল সেবনের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে দিনে দু’বার অ্যালকোহল পান করা খাদ্যনালি ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, মলদ্বার ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও অ্যালকোহল পেটে অ্যাসিড উৎপাদন করে থাকে। যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল আস্তরণের ক্ষতি করতে পারে।
এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করা:
এয়ার ফ্রেশনার এখন ঘরকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জানেন কি? এয়ার ফ্রেশনার বাতাসের গুণমান উন্নত করে না। বরং এতে রয়েছে ক্ষতিকারক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ। যখন আপনি ঘরে এটি স্প্রে করেন তখন নাকের মাধ্যমে এটি শরীরে প্রবেশ করে। আর বাড়িয়ে তুলছে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি।
গাড়ির ধোঁয়াশা এক্সপোজার:
যারা জ্বালানী হিসেবে নিয়মিত ডিজেল ব্যবহার করেন। তাদের ফুসফুস ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ডিজেল এবং পেট্রোল বেনজিন-সহ বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড এবং হাইড্রোকার্বন প্রকাশ করে।
গ্রিল করা খাবার:
মাছ বা মাংস যে কোনোটাই গ্রিল করে খাওয়া যায়। আর এটি বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে এখন। জানেন কি? গ্রিল করার ফলে এসব খাবারে হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস এবং তথাকথিত পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (পিএএইচএস) উৎপন্ন হয়। যা পেট, কোলন এবং অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার:
ত্বকের ক্যান্সার এবং অন্যান্য ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে বেশিরভাগ মানুষ সানস্ক্রিন ব্যবহার করে। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, সানস্ক্রিনে জিংক অক্সাইড নামে একটি উপাদান রয়েছে। যা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালস তৈরি কর। এটি ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
সূত্র:বোল্ডস্কাই