হাওর বার্তা ডেস্কঃ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে আরোহণ করেছে। গ্রহের অন্যতম স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে বিবেচিত এটি। চিকিৎসকরাও পরামর্শ দেন, জলপাই তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এই তেলের মাধ্যমে ওজন কমানো সহজতর হয়। পাশপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় অলিভ অয়েল।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের জলপাই তেল পাওয়া যায়। যেমন- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, ভার্জিন অলিভ অয়েল, রিফাইনড অলিভ অয়েল বা অলিভ অয়েল পোমাস। তবে রান্নায় এসব অলিভ অয়েলের ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা কারোই জানা নেই! এবার তবে জেনে নিন স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন অলিভ অয়েল রান্নায় ব্যবহার করবেন-
বর্তমানে সবার চাহিদা আটকে আছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে। তবে রান্নায় এই তেলটি ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষ করে বাঙালি খাবার রান্নায়। কারণ বাঙালি বিভিন্ন পদ সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। এক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন জলপাইয়ের তেল একেবারেই অর্গ্যানিকভাবে তৈরি করা হয়।
এতে জৈব-অ্যাকটিভ উপাদানসমূহের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন ই রয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কিছু পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। যা হার্টের জন্য খুবই ভালো।
তবে রান্নায় এই তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এই তেল তার সব গুণাগুণ হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায়। ১৯০ থেকে ২০৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি গেলেই তেলটি ভেঙে যেতে শুরু করে। আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, অন্যান্য দেশেও তো এই তেল রান্নায় ব্যবহার করা হয়?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সালাদ ড্রেসিংয়ে এই তেল বহির্বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। অত্যাধিক ভাজা পোড়া জাতীয় খাবারে এই তেল কখনো ব্যবহার করা হয় না। তবে অল্প আঁচে যেসব রান্না করা সম্ভব শুধু সেগুলোতেই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অন্যান্য জলপাইয়ের তেল উচ্চ তাপমাত্রার রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া