হাওর বার্তা ডেস্কঃ নজিরবিহীন মূল্য বৃদ্ধির পর দেশের চাষী পর্যায়ে পেঁয়াজের চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে। কৃষি বিভাগের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে চলতি রবি মৌসুমে ৪ জেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া কৃষি অঞ্চলে পেঁয়াজের চাষ কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে ।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই বগুড়া অঞ্চলে উৎপাদিত ১ লাখ ২০ হাজার ৯শ’ ৩৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাজারে চলে এসেছে। কুষ্টিয়া এলাকা থেকে আসা বড় সাইজের পেঁয়াজ বগুড়ার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০/ ৭০ টাকা কেজি দরে। আগামী মার্চে নাটোর, যশোর ও ফরিদপুর এলাকার পেঁয়াজ বাজারে আসলে মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে আসবে পেঁয়াজের বাজার ।
দেশীয় পেঁয়াজের ব্যবসার সাথে জড়িত বেশ কিছু ফড়িয়া ব্যবসায়ী জানালেন, মার্চ এপ্রিল এই ২ মাস পেঁয়াজ আমদানী যাতে বন্ধ থাকে সেজন্য সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে। তারা জানান, বৃহৎ আমদানীকারকরা ঠিক এই সময়টাতেই পেঁয়াজ আমদানী করে বাজারে ধ্বস নামায়। আর সুযোগ বুঝে মজুদদাররা এসময়ে কমদামে দেশী পেঁয়াজ কিনে মজুদ করে। ফলে উৎপাদক চাষীরা পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় ।
এরপর রোজার ঈদ, কোরবানী এবং বর্ষা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটে মজুদদাররা। এই বিষয়টির সঠিক মনিটরিং হলেই চাষীরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি পেঁয়াজ আমদানীরও দরকার পড়বে না বলে মনে করেন উৎপাদক চাষী ও প্রান্তিক ঘরানার ব্যবসায়ীরা ।