হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতের সন্ধ্যায় ভুট্টা পোড়া খেয়েছেন নিশ্চয়! রাস্তার পাশে দাড়িয়ে অনেকেই উপভোগ করে থাকেন এই ভুট্টা পোড়া। তাছাড়াও ভুট্টা থেকে তৈরি পপকর্ণ সারা বছরই পাওয়া যায়।
জানেন কি, শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, ভুট্টার রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। নিয়মিত ভুট্টা খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মেলে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ভুট্টার পুষ্টিমান ও উপকারিতা সম্পর্কে-
পুষ্টিমান
ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১ শতাংশ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে। আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে। এছাড়া হলুদ রঙের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
ভুট্টার স্বাস্থ্য উপকারিতা
> ভুট্টা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। কারণ ভুট্টায় পাওয়া যায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
> ভুট্টা লৌহ সমৃদ্ধ যা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। এর ফলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে।
> ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিকেল শরীরে ইনসুলিন শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
> মিষ্টি ভুট্টা বা ‘সুইট কর্ন’ আঁশ জাতীয় শস্য। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের যৌগ। তাই এটি দেরিতে হজম হয় এবং কাজের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
> হলুদ ভুট্টা দেহে এক টন বিটা ক্যারোটিন সরবরাহ করে। যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তাই বেশি বেশি হলুদ ভুট্টা খান।
> ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে।
> ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। এগুলো নতুন রক্তকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে রক্ত স্বল্পতা দূর হয়।
> এলডিএল নামে শরীরে যে ক্ষতিকর কোলস্টেরল থাকে, ভুট্টা তা দূর করতে সহায়তা করে।