হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাধারণত ১২ থেকে ৫৫ বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। কখনো কখনো এই সময়ের হেরফের হতে পারে। নির্ধারিত সময়ে পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব না হলে দুশ্চিন্তায় থাকেন নারীরা। বিশেষ করে, বিবাহিত নারীরা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করে ফেলেছেন ভেবে ভয় পেয়ে যান। বিভিন্ন কারণে ঋতুস্রাবে বিলম্ব হতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে গর্ভাবস্থা, বয়স, কম ওজন, স্ট্রেস, হরমোন বার্থ কন্ট্রোল ইত্যাদি।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম: যে নারীরা কঠিন ডায়েট করেন কিংবা কোনো কারণে ওজন হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক কমে গেছে তাদের পিরিয়ডে অনিয়ম হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে এটি হয়
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: আমাদের গলার নিচে থাকা থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের সব কার্যপ্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এটি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম হয় তবে থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় তাহলে শরীরের পুরো কার্যপ্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম: এটি একটি হরমোনাল সমস্যা। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ও টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে গেলে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হয়। যার ফলে দেরিতে পিরিয়ড হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে নারীদের মুখ ও স্তনের চারপাশে লোমের আধিক্য বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ: হঠাৎ করে অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হলে পিরিয়ডের বিলম্ব হতে পারে। স্ট্রেসের কারণে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে পিরিয়ডে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, বিচ্ছেদ কিংবা অন্য কোনো মানসিক আঘাতের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। হঠাৎ করে পিরিয়ড দেরিতে হলে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কিন্তু টানা তিন মাস পিরিয়ড না হলে কিংবা বছরে ৯ বারের কম পিরিয়ড হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।