ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজন কমলেও আপেল সিডার ভিনেগার পানে হতে পারে ডায়াবেটিস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাজারো রোগের সমাধান রয়েছে আপেল সিডারে ভিনেগারে। এ কথা বর্তমানে সবারই জানা! বিশেষ করে ওজন, হার্টের সমস্যা ও চুলের খুশকি দূর করতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
জাপানের গবেষকদের মতে, আপেল সিডার ভিনেগার স্থুলতার সঙ্গে লড়াই করে। এছাড়াও টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে অনেকেই ওজন কিংবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার পান করে থাকেন। তবে জানেন কি? এতো সুফল থাকা স্বত্ত্বেও এই পানীয়তে কিছু কুফলও রয়েছে। জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে-

১. অত্যাধিক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে আপেল সিডার ভিনেগার। অতিরিক্ত এই পানীয়টি পানের ফলে দাঁতের ক্ষয়, গলা ব্যথা এমনকি পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

২. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ওজন কমাতে সক্ষম। তবে আপেল সিডার ভিনেগার পানের ফলে শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। যাকে বলা হয় হাইপোকেলেমিয়া। আমাদের পেশি ও স্নায়ুর উন্নতিতে পটাশিয়ামের গুরুত্ব অনেক। যখনই রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে বিষণ্নতা বোধ, শ্বাস নিতে সমস্যা, শরীর ব্যথা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হজমে সমস্যা, পেশিতে টান পড়া ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়।

৩. ত্বক পুড়ে যেতে পারে এটি সরাসরি ব্যবহার করলে। আপেল সিডার ভিনেগার অত্যন্ত অম্লীয় প্রকৃতির হওয়ায় এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

৪. টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার পানের ফলে। কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায়। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে গ্যাস্ট্রোপেরাসিস হতে পারে।

৫. আপেল সিডার ভিনেগার পানের ফলে কিছু ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। যেমন- ডায়ুরিটিক্স, ল্যাক্সেটিভস ও ইনসুলিন। এজন্য এসব ওষুধ যারা ব্যবহার করেন তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

দিনে দুই টেবিল চামচের বেশি পান করলেই এই পানীয়টি আপনার ক্ষতি করতে পারে। অবশ্যই পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি পান করার আধা ঘণ্টা পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন।

সূত্র: এভ্রিডেহেলথ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ওজন কমলেও আপেল সিডার ভিনেগার পানে হতে পারে ডায়াবেটিস

আপডেট টাইম : ০২:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাজারো রোগের সমাধান রয়েছে আপেল সিডারে ভিনেগারে। এ কথা বর্তমানে সবারই জানা! বিশেষ করে ওজন, হার্টের সমস্যা ও চুলের খুশকি দূর করতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
জাপানের গবেষকদের মতে, আপেল সিডার ভিনেগার স্থুলতার সঙ্গে লড়াই করে। এছাড়াও টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে অনেকেই ওজন কিংবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার পান করে থাকেন। তবে জানেন কি? এতো সুফল থাকা স্বত্ত্বেও এই পানীয়তে কিছু কুফলও রয়েছে। জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে-

১. অত্যাধিক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে আপেল সিডার ভিনেগার। অতিরিক্ত এই পানীয়টি পানের ফলে দাঁতের ক্ষয়, গলা ব্যথা এমনকি পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

২. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ওজন কমাতে সক্ষম। তবে আপেল সিডার ভিনেগার পানের ফলে শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। যাকে বলা হয় হাইপোকেলেমিয়া। আমাদের পেশি ও স্নায়ুর উন্নতিতে পটাশিয়ামের গুরুত্ব অনেক। যখনই রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে বিষণ্নতা বোধ, শ্বাস নিতে সমস্যা, শরীর ব্যথা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হজমে সমস্যা, পেশিতে টান পড়া ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়।

৩. ত্বক পুড়ে যেতে পারে এটি সরাসরি ব্যবহার করলে। আপেল সিডার ভিনেগার অত্যন্ত অম্লীয় প্রকৃতির হওয়ায় এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

৪. টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে আপেল সিডার ভিনেগার পানের ফলে। কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায়। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে গ্যাস্ট্রোপেরাসিস হতে পারে।

৫. আপেল সিডার ভিনেগার পানের ফলে কিছু ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। যেমন- ডায়ুরিটিক্স, ল্যাক্সেটিভস ও ইনসুলিন। এজন্য এসব ওষুধ যারা ব্যবহার করেন তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

দিনে দুই টেবিল চামচের বেশি পান করলেই এই পানীয়টি আপনার ক্ষতি করতে পারে। অবশ্যই পানি মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি পান করার আধা ঘণ্টা পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন।

সূত্র: এভ্রিডেহেলথ