ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমেক হাসপাতাল বেড়েছে সেবা, কমেছে মৃত্যু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে বেড়েছে সেবার মান। বিশেষ করে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর হাসপাতালের চেহারা পাল্টে গেছে।

এদিকে বিগত বছর থেকে সব বিভাগের সেবার মান ও রোগীর সংখ্যা বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে হাসপাতালটি। এ ধারাকে অব্যাহত রেখে মুজিব বর্ষে সেবা আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক মুজিবুর রহমান।

হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৮৪১ জন, ২০১৯ সালে তিন লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭ জন। অন্তর্বিভাগে ২০১৮ সালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ছয় লাখ তিন হাজার ২৯৭ জন, ২০১৯ সালে সাত লাখ নয় হাজার ৭৬১ জন।

২০১৮ সালে অপারেশন হয়েছে দুই লাখ এক হাজার ৭৯১টি, ২০১৯ সালে দুই লাখ ৪৩ হাজার। ২০১৮ সালে প্যাথলজি টেস্ট দুই লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ ও ২০১৯ সালে তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৩। এক্স-রে ২০১৮ সালে ১৪ হাজার ৭০৫টি, ২০১৯ সালে ২৯ হাজার ৪৮৪। ইসিজি ২০১৮ সালে দশ হাজার তিনশটি, ২০১৯ সালে ১২ হাজার ৭৬৯। ২০১৮ সালে ১৩ হাজার ১৭২ জনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে, ২০১৯ সালে ১৮ হাজার ৭৮৭ জনের।

হাসপাতালে শয্যার ব্যবহার বেড়েছে ১৬১ থেকে ১৮৯ শতাংশ। দৈনিক গড় ভর্তি ১৮৩ থেকে ২১৯ জন। কমেছে গড় অবস্থান সময় ২০১৮ সালে ছিল চার দশমিক ৩৯, ২০১৯ সালে কমে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ১৮ দিন। হাসপাতালে গড় মৃত্যুর হার কমেছে ২০১৮ সালে এক দশমিক ৯৭ শতাংশ, ২০১৯ সালে কমে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া কুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি বলেও দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

সদর দক্ষিণ রাজাপাড়া থেকে আসা রোগীর স্বজন মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সেবার মান মোটামুটি ভালো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি আরো নজর দিতে হবে।

ওয়ার্ড মাস্টার ইলিয়াস মিয়া জানান, বিগত সময় থেকে সেবা অনেক ভালো চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথা সময়ে অফিসে আসছেন। কিছু পদে জনবল সংকট রয়েছে, যদি তা সমাধান হয় আরো বেশি সেবা দেয়া যাবে।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে সেবার দিকে বিশেষ গুরুত্ব রাখা হচ্ছে। আইসিইউ চালু করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। এক হাজার শয্যায় উন্নীত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ৫০০ শয্যার হাসপাতালে ৯শ’ রোগী ভর্তি থাকে। জনবল রয়েছে ২৫০ শয্যার, তাই জনবল বাড়াতে চিঠি দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পৃথক সভা করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর স্বজনদের জন্য অভিযোগ বাক্স বসানো হয়েছে। যেকোনো অভিযোগ আমলে নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমেক হাসপাতাল বেড়েছে সেবা, কমেছে মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে বেড়েছে সেবার মান। বিশেষ করে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর হাসপাতালের চেহারা পাল্টে গেছে।

এদিকে বিগত বছর থেকে সব বিভাগের সেবার মান ও রোগীর সংখ্যা বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে হাসপাতালটি। এ ধারাকে অব্যাহত রেখে মুজিব বর্ষে সেবা আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক মুজিবুর রহমান।

হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৮৪১ জন, ২০১৯ সালে তিন লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭ জন। অন্তর্বিভাগে ২০১৮ সালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ছয় লাখ তিন হাজার ২৯৭ জন, ২০১৯ সালে সাত লাখ নয় হাজার ৭৬১ জন।

২০১৮ সালে অপারেশন হয়েছে দুই লাখ এক হাজার ৭৯১টি, ২০১৯ সালে দুই লাখ ৪৩ হাজার। ২০১৮ সালে প্যাথলজি টেস্ট দুই লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ ও ২০১৯ সালে তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৩। এক্স-রে ২০১৮ সালে ১৪ হাজার ৭০৫টি, ২০১৯ সালে ২৯ হাজার ৪৮৪। ইসিজি ২০১৮ সালে দশ হাজার তিনশটি, ২০১৯ সালে ১২ হাজার ৭৬৯। ২০১৮ সালে ১৩ হাজার ১৭২ জনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে, ২০১৯ সালে ১৮ হাজার ৭৮৭ জনের।

হাসপাতালে শয্যার ব্যবহার বেড়েছে ১৬১ থেকে ১৮৯ শতাংশ। দৈনিক গড় ভর্তি ১৮৩ থেকে ২১৯ জন। কমেছে গড় অবস্থান সময় ২০১৮ সালে ছিল চার দশমিক ৩৯, ২০১৯ সালে কমে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ১৮ দিন। হাসপাতালে গড় মৃত্যুর হার কমেছে ২০১৮ সালে এক দশমিক ৯৭ শতাংশ, ২০১৯ সালে কমে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া কুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি বলেও দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

সদর দক্ষিণ রাজাপাড়া থেকে আসা রোগীর স্বজন মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সেবার মান মোটামুটি ভালো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি আরো নজর দিতে হবে।

ওয়ার্ড মাস্টার ইলিয়াস মিয়া জানান, বিগত সময় থেকে সেবা অনেক ভালো চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথা সময়ে অফিসে আসছেন। কিছু পদে জনবল সংকট রয়েছে, যদি তা সমাধান হয় আরো বেশি সেবা দেয়া যাবে।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে সেবার দিকে বিশেষ গুরুত্ব রাখা হচ্ছে। আইসিইউ চালু করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। এক হাজার শয্যায় উন্নীত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ৫০০ শয্যার হাসপাতালে ৯শ’ রোগী ভর্তি থাকে। জনবল রয়েছে ২৫০ শয্যার, তাই জনবল বাড়াতে চিঠি দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পৃথক সভা করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর স্বজনদের জন্য অভিযোগ বাক্স বসানো হয়েছে। যেকোনো অভিযোগ আমলে নেয়া হবে।