টানা ১০ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা দেশের বৃহত্তর দল বিএনপি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে চায়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন দলটির চেয়াপারসন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি লন্ডনে বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারমান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন কর্মপরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছেন তিনি। কিন্তু কি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন খালেদা জিয়া তা নিয়ে থাকছে জাগো নিউজের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।
টানা ১০ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা দেশের বৃহত্তর দল বিএনপি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে চায়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন দলটির চেয়াপারসন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি লন্ডনে বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারমান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন তিনি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মেয়াদে ক্ষমতার বাহিরে থেকে ভঙ্গুর অবস্থায় নিপতিত বিএনপির হারানো ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া। লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মা ও ছেলে (খালেদা ও তারেক) মোটামুটি সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন।
এদিকে, দলের নেতাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা না থাকার কারণে মা ও ছেলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেনে তা অনুযায়ী একের পর এক কাজ শুরু করবেন খালেদা জিয়া। নতুন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করবেন তিনি।
এর আগে লন্ডনে থাকাকালীন কেন্দ্র থেকে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিটি গঠনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব না হলেও যত দ্রুত সম্ভব সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে কেন্দ্রে কমিটি জমা দেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করবেন তিনি।
পরবর্তীতে একে একে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলো পুনর্গঠনের পাশাপাশি সরকারকে কিভাবে চাপে রাখা যায় সেদিকেও নজর দিবেন খালেদা জিয়া। বিশেষ করে আগামী ৫ জানুয়ারি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে বড় ধরনের পরিকল্পনা করতে চাচ্ছেন বিএনপি প্রধান।
জানা গেছে, তার কয়েকটি পরিকল্পনার মধ্যে দ্রুত সারাদেশের জেলা ও উপজেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এজন্য কেন্দ্র থেকে বিভিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে নির্দেশনা দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।
এদিকে মূলত সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে রাজপথে বারবার পরাজয় বরণ করতে হচ্ছে বিষয়টি বুঝার পর গুরুত্বর্পূণ ইউনিট তথা সারাদেশের জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনের প্রতি প্রাথমিকভাবে নজর দিচ্ছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান ৭৫টি ইউনিটে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে গত ৯ আগস্ট চিঠি দিয়েছিলেন।
সর্বশেষ কয়টি জেলার কমিটি গঠন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মোটামুটি সবগুলো ইউনিটের কমিটি গঠনের কাজ শেষ পর্যায়ে।
মো. শাহজাহান বলেন, যে জেলাগুলোতে জটিলতা ছিল খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পর সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে বিভেদ ভুলে রাজপথে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করে দ্রুত কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিএনপি প্রধানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো চাপ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাপ নেই। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় কমিটি না হওয়ার কারণে ভঙ্গুরপ্রায় বিএনপির অবস্থা দিনদিন আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছিল। তাই দলের নেতাদের পরামর্শে দ্রুত জেলা, উপজেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে কমিটি গঠন করে সারাদেশে দলের হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন খালেদা জিয়া।