ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ লক্ষণে বুঝবেন হার্টঅ্যাটাক, কী করবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হার্ট অ্যাটাক একটি জটিল রোগ। প্রতি চারজনে একজন তাৎক্ষণিকভাবে এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। আবার অনেকে হাসপাতালে ভর্তির পরও মৃত্যুবরণ করেন।

বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ ইত্যাদি হার্টঅ্যাটাকের অন্যতম কারণ।

হার্টঅ্যাটাক কী?

যখন হৃৎপিণ্ডের কোনো শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে তখনই হার্টঅ্যাটাক হয়।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়, তা হলো হার্টঅ্যাটাক হলেও অনেকে তা বুঝতে পারেন না। কখনও কখনও বুকে কোনো ধরনের ব্যথা ছাড়াই হার্টঅ্যাটাক হতে পারে।

তাই এই রোগ বুঝতে হলে এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন হার্টঅ্যাটাক-

১. হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টঅ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই দুর্বলতা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলে বিশ্রামের প্রয়োজন।

২. হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে অবহেলা করবেন না। এটিও হার্টঅ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয়, তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃৎপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে।

৩. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টঅ্যাটাকের আগে বদহজম ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া বুক জ্বালা, কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলো অবহেলা করবেন না।

৪. অনেক সময় দেখা যায়, হার্টঅ্যাটাক হলেও বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি, বুকে চাপ ধরা, ভারী ভাব অনুভব করা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।

৫. শুধু বুকে ব্যথা না হলেও শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা হলে তা হার্টঅ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের ওপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্টঅ্যাটাকের লক্ষণ।

কী করবেন?

ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

৫ লক্ষণে বুঝবেন হার্টঅ্যাটাক, কী করবেন

আপডেট টাইম : ১১:৩১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হার্ট অ্যাটাক একটি জটিল রোগ। প্রতি চারজনে একজন তাৎক্ষণিকভাবে এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। আবার অনেকে হাসপাতালে ভর্তির পরও মৃত্যুবরণ করেন।

বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ ইত্যাদি হার্টঅ্যাটাকের অন্যতম কারণ।

হার্টঅ্যাটাক কী?

যখন হৃৎপিণ্ডের কোনো শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে তখনই হার্টঅ্যাটাক হয়।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়, তা হলো হার্টঅ্যাটাক হলেও অনেকে তা বুঝতে পারেন না। কখনও কখনও বুকে কোনো ধরনের ব্যথা ছাড়াই হার্টঅ্যাটাক হতে পারে।

তাই এই রোগ বুঝতে হলে এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিই যেসব লক্ষণে বুঝবেন হার্টঅ্যাটাক-

১. হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টঅ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই দুর্বলতা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলে বিশ্রামের প্রয়োজন।

২. হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে অবহেলা করবেন না। এটিও হার্টঅ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয়, তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃৎপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে।

৩. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টঅ্যাটাকের আগে বদহজম ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া বুক জ্বালা, কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলো অবহেলা করবেন না।

৪. অনেক সময় দেখা যায়, হার্টঅ্যাটাক হলেও বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। তবে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি, বুকে চাপ ধরা, ভারী ভাব অনুভব করা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।

৫. শুধু বুকে ব্যথা না হলেও শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা হলে তা হার্টঅ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের ওপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্টঅ্যাটাকের লক্ষণ।

কী করবেন?

ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।