ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী মারা যেতে পারে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
  • ২১০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ। চীনে নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাস তিনেক আগে এমন সতর্কতা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স সেন্টার হেলথ সিকিউরিটির বিজ্ঞানী এরিক টোনার জানান, তিনি বহুদিন ধরে ভেবে আসছিলেন যে, বিশ্বব্যাপী নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে পড়লে তা নতুন ধরনের কোনো করোনা ভাইরাসই হবে। এজন্য চলতি বছর যখন চীনে নতুন ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটলো তিনি মোটেই অবাক হননি। এ খবর দিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সাধারণত শ্বাসনালীর কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়, যা থেকে নিউমোনিয়া বা সর্দি-কাশির মতো রোগ হতে পারে। চলতি শতকের শুরুর দিকে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া এমন এক করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ৭৭৪ জন। সাম্প্রতিক ভাইরাসটিতে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৫৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে আরো প্রায় ২০০০।
অবশ্য চীনের নতুন ভাইরাসটিকে এখনো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েনি।

তবে প্রায় ডজনখানেক দেশে এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। টোনার বলেন, আমরা জানি না এটা ঠিক কতটা সংক্রামক। তবে এটা জানা গেছে যে, ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও কী পরিমাণে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা ২০০৩ সালের করোনা ভাইরাস ‘সারস’ এর চেয়ে কিছুটা মৃদু মাত্রার কিন্তু তার চেয়ে বেশি সংক্রামক।
টোনার গত বছর তার গবেষণায় একটি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কথা চিন্তা করেছিলেন যেটি ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এতে ১৮ মাসের মধ্যে মারা যাবেন সাড়ে ছয় কোটি মানুষ। টোনারের কল্পিত ভাইরাসটির নাম ‘ক্যাপস’। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মিলে এই বিশ্লেষণ করেন। তাদের বিশ্লেষণটি তৈরি করা হয়, ব্রাজিলের শুকরের খামারগুলো থেকে কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণাম কী হবে তা নিয়ে। উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে নতুন ভাইরাসটি এক বন্যপ্রাণী বেচাকেনার বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টোনার জানান, তার কল্পনাপ্রসূত ভাইরাসটির বিশ্লেষণে বিজ্ঞানীরা যথাসময়ে কোনো টিকা আবিষ্কার করতে পারেননি। ভাইরাসটি খুব সহজেই সংক্রামক ছিল। প্রাথমিকভাবে নিউমোনিয়া বা ফ্লুর আকারে ছোট পরিসরে ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে তা দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাতিল করে দেয়া হয় ফ্লাইট। গুজব ও ভুয়া তথ্যে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম ছয় মাসেই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ও এক বছরে সাড়ে ছয় কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দাও দেখা দেয়।
চীনের করোনা ভাইরাস বিশ্বকে যেভাবে প্রভাবিত করছে তার সঙ্গে টোনারের কল্পনাপ্রসূত বিশ্লেষণের মিল পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। আক্রান্ত হয়েছে ফ্লাইট। গত সপ্তাহে হংকংয়ের শেয়ার বাজারে ২.৮ শতাংশ দর পতন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিশ্বব্যাপী মারা যেতে পারে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

আপডেট টাইম : ১১:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ। চীনে নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাস তিনেক আগে এমন সতর্কতা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স সেন্টার হেলথ সিকিউরিটির বিজ্ঞানী এরিক টোনার জানান, তিনি বহুদিন ধরে ভেবে আসছিলেন যে, বিশ্বব্যাপী নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে পড়লে তা নতুন ধরনের কোনো করোনা ভাইরাসই হবে। এজন্য চলতি বছর যখন চীনে নতুন ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটলো তিনি মোটেই অবাক হননি। এ খবর দিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সাধারণত শ্বাসনালীর কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়, যা থেকে নিউমোনিয়া বা সর্দি-কাশির মতো রোগ হতে পারে। চলতি শতকের শুরুর দিকে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া এমন এক করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ৭৭৪ জন। সাম্প্রতিক ভাইরাসটিতে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৫৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে আরো প্রায় ২০০০।
অবশ্য চীনের নতুন ভাইরাসটিকে এখনো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েনি।

তবে প্রায় ডজনখানেক দেশে এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। টোনার বলেন, আমরা জানি না এটা ঠিক কতটা সংক্রামক। তবে এটা জানা গেছে যে, ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও কী পরিমাণে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা ২০০৩ সালের করোনা ভাইরাস ‘সারস’ এর চেয়ে কিছুটা মৃদু মাত্রার কিন্তু তার চেয়ে বেশি সংক্রামক।
টোনার গত বছর তার গবেষণায় একটি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কথা চিন্তা করেছিলেন যেটি ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এতে ১৮ মাসের মধ্যে মারা যাবেন সাড়ে ছয় কোটি মানুষ। টোনারের কল্পিত ভাইরাসটির নাম ‘ক্যাপস’। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মিলে এই বিশ্লেষণ করেন। তাদের বিশ্লেষণটি তৈরি করা হয়, ব্রাজিলের শুকরের খামারগুলো থেকে কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণাম কী হবে তা নিয়ে। উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে নতুন ভাইরাসটি এক বন্যপ্রাণী বেচাকেনার বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টোনার জানান, তার কল্পনাপ্রসূত ভাইরাসটির বিশ্লেষণে বিজ্ঞানীরা যথাসময়ে কোনো টিকা আবিষ্কার করতে পারেননি। ভাইরাসটি খুব সহজেই সংক্রামক ছিল। প্রাথমিকভাবে নিউমোনিয়া বা ফ্লুর আকারে ছোট পরিসরে ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে তা দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাতিল করে দেয়া হয় ফ্লাইট। গুজব ও ভুয়া তথ্যে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম ছয় মাসেই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ও এক বছরে সাড়ে ছয় কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দাও দেখা দেয়।
চীনের করোনা ভাইরাস বিশ্বকে যেভাবে প্রভাবিত করছে তার সঙ্গে টোনারের কল্পনাপ্রসূত বিশ্লেষণের মিল পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। আক্রান্ত হয়েছে ফ্লাইট। গত সপ্তাহে হংকংয়ের শেয়ার বাজারে ২.৮ শতাংশ দর পতন হয়েছে।