ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জেদ্দা কনস্যুলেটের উদ্যোগ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার: আইসিটি সচিব  অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ  হয়রানী মূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গিকারাবব্ধ: সিনিয়র সচিব অভিনেত্রী শাওন ও ডিবি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি জালিয়াতি বন্ধে পাঠ্যবইয়ের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ হচ্ছে

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৪৭ বার

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিব বান কি মুনের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ২৪ নভেম্বর পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

মাসুদ বিন মোমেন হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের চতুর্দশ স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিচয়পত্র পেশকালে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাতিসংঘ মহাসচিব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনেও বাংলাদেশ আরো বেশি সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী বছরের সাধারণ পরিষদ বৈঠকের অব্যবহিত পূর্বে অনুষ্ঠিতব্য অভিবাসন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেন। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে ‘গ্লেবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট’ এর সভাপতি হিসেবে অভিবাসন ও উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদান করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের সাথে তাঁর নিজ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি আগামী বছর ‘ওয়ার্ল্ড হিউম্যানেটারিয়ান সামিট’ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘে এলডিসি গ্রুপের সভাপতি, শান্তিরক্ষা, পিস বিল্ডিংসহ টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। পরিচয়পত্র পেশকালে মিসেস বান কি মুনও উপস্থিত ছিলেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি অটিজম সচেতনতা সৃষ্টি ও এর প্রতিরোধে মিসেস বান কি মুনের আগ্রহের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আগামী বছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদ্যাপন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।

পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধির পত্নী ফাহমিদা জেবীন, মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরেশ্লাভ জেনকা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ

আপডেট টাইম : ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিব বান কি মুনের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ২৪ নভেম্বর পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

মাসুদ বিন মোমেন হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের চতুর্দশ স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিচয়পত্র পেশকালে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাতিসংঘ মহাসচিব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনেও বাংলাদেশ আরো বেশি সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী বছরের সাধারণ পরিষদ বৈঠকের অব্যবহিত পূর্বে অনুষ্ঠিতব্য অভিবাসন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেন। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে ‘গ্লেবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট’ এর সভাপতি হিসেবে অভিবাসন ও উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদান করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের সাথে তাঁর নিজ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি আগামী বছর ‘ওয়ার্ল্ড হিউম্যানেটারিয়ান সামিট’ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘে এলডিসি গ্রুপের সভাপতি, শান্তিরক্ষা, পিস বিল্ডিংসহ টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। পরিচয়পত্র পেশকালে মিসেস বান কি মুনও উপস্থিত ছিলেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি অটিজম সচেতনতা সৃষ্টি ও এর প্রতিরোধে মিসেস বান কি মুনের আগ্রহের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আগামী বছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদ্যাপন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।

পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধির পত্নী ফাহমিদা জেবীন, মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরেশ্লাভ জেনকা উপস্থিত ছিলেন।