হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিবেশ, খাদ্য এবং ওষুধে বিষ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ইডেন বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া কলেজে ১শ’ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে ইডেন বাংলাদেশ।
পাকুন্দিয়া কলেজের অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন বলেন, পরিবেশ রক্ষার্থে এ ধরনের কাজে আমাদের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি বলেন, এটি একটি মহৎ কাজ। এ সংস্থার কাজের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা পাবে।
ইডেন বাংলাদেশ এর সভাপতি ম. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বজুড়ে পলিথিনের ব্যবহার বাড়ায় জমির উর্বরতা হ্রাস পেয়েছে। নদী, খাল, সাগর, মাঠ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। তাই পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহাররোধে জনগণকে সচেতনতা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশীয় ফল না খেয়ে বিদেশি ফলমূল ও খাদ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। কিন্তু এসব খাদ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি রয়েছে। তাই দেশীয় ফল খাওয়া এবং ফলজ গাছ লাগানোর জন্য আমাদের অভিযান চলবে দেশজুড়ে।
ইডেন বাংলদেশ এর আর একটি বড় দিক হলো এন্টিবায়োটিক খাওয়ার বিষয় জনসাধারণকে সচেতন করা। এ বিষয়ে এ সংস্থার অন্যতম উপদেষ্টা পটুয়াখালী শাহজাহান জেনারেল হাসপাতালের ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, এমবিবিএস, সিসিডি, বারডেম, জেনারেল ফিজিসিয়ান, তিনি বলেন, ‘না জেনে এন্টিবায়োটিক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি। ডক্টরের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী-এন্টিবায়োটিক কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। যদি-এন্টিবায়োটিক কোর্স সম্পন্ন করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওই-এন্টিবায়োটিক কোন কাজে আসবে না। তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হবে। একইভাবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফারমেসি কিংবা ক্যামিস্টদের অথবা ডাক্তার নয় এমন কারো পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ক্রয় করা যাবে না। ডক্টরের পরামর্শেই ওষুধ ক্রয় করা উচিত। ইডেন বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা এসব বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করি।
জানা গেছে, ইডেন বাংলাদেশ প্রথম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে পর্যাক্রমে দেশব্যাপী এ জনসচেতনতামূলক অভিযান চালাবে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো-সুন্দর প্রকৃতি ফিরিয়ে দেয়া। প্রকৃতির নিজস্ব রূপে ফিরে আসুক।