হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজব উপায়ে চিকিৎসা করেন এক বৃদ্ধা। তিনি চোখের চিকিৎসা করে থাকেন। বসনিয়ার এই বৃদ্ধা জিহ্বায় অ্যালকোহল লাগিয়ে তা চোখের মধ্যে দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করেন। এতে নাকি সুস্থও হয়ে যান রোগীরা। আর তাইতো তার বাড়িতে থাকে রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।
রহস্য আর বিচিত্রতায় ভরা পৃথিবীতে কত যে বিচিত্র স্বভাব আর প্রতিভার মানুষ রয়েছে। তা হয়তো সবসময় জানা সম্ভব হয় না। তবে এ মানুষগুলো আমাদের দিনের পর দিন চমকে দিচ্ছে তাদের বিচিত্র প্রতিভায়। তেমনই একজন এই বৃদ্ধা। তার বয়স ৮০ বছর। তার নাম হাভা সেলিবিক। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা গ্রামের সবাই তাকে নানি হাভা বলেই ডাকেন। সেখানকার বাসিন্দারা দাবি করেন হাভাই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি তাদের জিহ্বার সাহায্যে রোগ নিরাময় করেন।
হাভা তার জিহ্বায় অ্যালকোহল লাগিয়ে নেন। এরপর তিনি লোকের চোখে আটকে থাকা সিসা, আয়রন, কয়লা, খড় এবং কাঁচের টুকরো বের করে আনেন। হাভার কাছে রোগীরা যাওয়ার পর তাদের একটি চেয়ারে বসানো হয়। এরপর হাভা তার জিহ্বা দিয়ে তাদের চোখের ভেতরের ময়লা খুঁজতে থাকে। এর জন্য হাভা রোগীর কাছ থেকে ১০ ইউরো করে চার্জ নেন।
হাভা বলেন, তিনি এক নারীর কাছ থেকে এটি শিখেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে এটি তার বংশধরদের মাঝে পৌঁছে দিতে পারেননি। কারণ তার সন্তানরা অন্যদের চোখের ভেতর জিহ্বা দিয়ে এভাবে কাজ করতে খুবই বিরক্তবোধ করে। গ্রামের বাসিন্দারা হাভাকে বলেছেন তিনি মারা গেলে তার জিহ্বা কেটে ফেলবে। যাতে গ্রামের লোকেরা এটি দিয়ে তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে।
হাভা এ পর্যন্ত আমেরিকা এবং রাশিয়ার প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের চোখের রোগ নিরাময় করেছেন বলে দাবি করেন। তিনি আরো জানান, যেসব রোগের নিরাময় করেছেন তিনি তা অনেক আধুনিক ওষুধেও সারাতে পারেনি। অনেক রোগী তাদের ফোলা চোখ নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাভার কাছে এসেছে। হাভা তাদের চিকিৎসা করে ভালো করে দিয়েছেন।
সূত্র: ডেইলিমেইল