ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ে কমলায় ঝুঁকছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাঙামাটিতে আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম্বুরা, আনারসের পাশাপাশি এখন যুক্ত হয়েছে কমলা। ফলন উপযোগী ভূ-প্রকৃতির কারণে অন্যান্য ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ চাষ। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় কমলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

জেলায় এ বছর সাত হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আট হাজার মেট্রিক টন। গত বছর উৎপাদন হয়েছে সাত হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।

কমলা বাগান মালিক কৃষ্ণ লাল চাকমা বলেন, এক সময় আমার জমিটি পতিত অবস্থায় ছিল। কয়েক বছর আগে কমলা চাষ শুরু করি। ফলন ভালো হচ্ছে দেখে আশপাশের অনেকে এখন এ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতা মধু লাল চাকমা ও সনজিত চাকমা বলেন, এক লাখ টাকা দিয়ে আমরা চারটি বাগান কিনেছি। এবারো ভালোই ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার টাকার মতো কমলা বিক্রি করতে পারবো।

শহরের বনরূপা বাজারে কমলা ক্রেতা মো. হারুন বলেন, পাহাড়ি কমলা স্বাদে অন্য রকম। ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় এ কমলাই কিনি।

শহরের কলেজ গেট এলাকায় কমলা ক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম দাম নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এক জোড়া কমলা ৫০ টাকা একটু বেশি মনে হচ্ছে। ২০-২৫ টাকা হলে সবাই কিনতে পারতো। এখন ইচ্ছে থাকলেও দামের কারণে সবাই কিনতে পারছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকায় জলবায়ুর কারণে সব ফলের চাষাবাদ বরাবরই ভালো হয়। পাহাড়ি এলাকায় কমলা চাষ বাড়ার ফলে বিদেশ থেকে আমদানি কমে আসবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে দিনদিন যেভাবে কমলার চাষ বাড়ছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ ফল বিদেশেও রফতানি করা যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পাহাড়ে কমলায় ঝুঁকছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাঙামাটিতে আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম্বুরা, আনারসের পাশাপাশি এখন যুক্ত হয়েছে কমলা। ফলন উপযোগী ভূ-প্রকৃতির কারণে অন্যান্য ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ চাষ। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় কমলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

জেলায় এ বছর সাত হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আট হাজার মেট্রিক টন। গত বছর উৎপাদন হয়েছে সাত হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।

কমলা বাগান মালিক কৃষ্ণ লাল চাকমা বলেন, এক সময় আমার জমিটি পতিত অবস্থায় ছিল। কয়েক বছর আগে কমলা চাষ শুরু করি। ফলন ভালো হচ্ছে দেখে আশপাশের অনেকে এখন এ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতা মধু লাল চাকমা ও সনজিত চাকমা বলেন, এক লাখ টাকা দিয়ে আমরা চারটি বাগান কিনেছি। এবারো ভালোই ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার টাকার মতো কমলা বিক্রি করতে পারবো।

শহরের বনরূপা বাজারে কমলা ক্রেতা মো. হারুন বলেন, পাহাড়ি কমলা স্বাদে অন্য রকম। ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় এ কমলাই কিনি।

শহরের কলেজ গেট এলাকায় কমলা ক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম দাম নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এক জোড়া কমলা ৫০ টাকা একটু বেশি মনে হচ্ছে। ২০-২৫ টাকা হলে সবাই কিনতে পারতো। এখন ইচ্ছে থাকলেও দামের কারণে সবাই কিনতে পারছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকায় জলবায়ুর কারণে সব ফলের চাষাবাদ বরাবরই ভালো হয়। পাহাড়ি এলাকায় কমলা চাষ বাড়ার ফলে বিদেশ থেকে আমদানি কমে আসবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে দিনদিন যেভাবে কমলার চাষ বাড়ছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ ফল বিদেশেও রফতানি করা যাবে।