ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীদের হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী অজস্র সরু নালি পথ রয়েছে। সাধারণত অ্যালার্জি, ধুলোবালি বা অন্য কোনো নানা কারণে শ্বাসনালীর পেশী ফুলে যায় এবং অক্সিজেন বহনকারী নালি পথগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে মানব দেহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেতে সমস্যা হয় এবং হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

চিকিত্সকদের মতে, এই রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে ইদানীং মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে।

এদিকে সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করা হয়, সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীরাই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যায় বেশি ভোগেন। চিকিত্সকেরা বলছেন, নারীদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন না থাকায় তারা অনেক সহজেই এ সমস্যায় আক্রান্ত হন।

এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, শৈশবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অ্যাস্থমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কিন্তু বয়ঃসন্ধির পর থেকে এই প্রবণতা বদলে যায়।

সেল রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে সাইকোটিন প্রোটিন সৃষ্টিতে বাধা পায়। এই সাইটোকিনস প্রোটিন ফুসফুসে শ্লেষ্মা (Mucus) তৈরি করে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে। তাছাড়া, সাইটোকিনস প্রোটিনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রদাহের ফলে শ্বাসনালীর পেশী ফুলে যায় এবং অক্সিজেন বহনকারী নালী পথগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি হলো ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এ রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারীদের হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি

আপডেট টাইম : ১১:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী অজস্র সরু নালি পথ রয়েছে। সাধারণত অ্যালার্জি, ধুলোবালি বা অন্য কোনো নানা কারণে শ্বাসনালীর পেশী ফুলে যায় এবং অক্সিজেন বহনকারী নালি পথগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে মানব দেহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেতে সমস্যা হয় এবং হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

চিকিত্সকদের মতে, এই রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে ইদানীং মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে।

এদিকে সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করা হয়, সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীরাই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যায় বেশি ভোগেন। চিকিত্সকেরা বলছেন, নারীদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন না থাকায় তারা অনেক সহজেই এ সমস্যায় আক্রান্ত হন।

এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, শৈশবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অ্যাস্থমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কিন্তু বয়ঃসন্ধির পর থেকে এই প্রবণতা বদলে যায়।

সেল রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে সাইকোটিন প্রোটিন সৃষ্টিতে বাধা পায়। এই সাইটোকিনস প্রোটিন ফুসফুসে শ্লেষ্মা (Mucus) তৈরি করে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে। তাছাড়া, সাইটোকিনস প্রোটিনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রদাহের ফলে শ্বাসনালীর পেশী ফুলে যায় এবং অক্সিজেন বহনকারী নালী পথগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি হলো ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এ রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।