ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষা থেকে মধু আহরণের সম্ভাবনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষাক্ষেতগুলোর পাশে বসানো হয়েছে মৌ-চাষের বক্স। অস্ট্রেলিয়ান জাতের অ্যাপিস মেলিফেরা মৌমাছি সরিষাফুল থেকে পরাগায়নে সহায়তা করছে। অন্যদিকে সেই ফুল থেকে মধু আহরণ করছে।

Related image

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৬ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ২২৫ হেক্টর জমিতে ১৭০০টি মধু আহরণের জন্য চাষিরা বক্স বসিয়েছেন। এবছর ৬৫ হাজার কেজি মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার কেজি আহরণ হয়েছে।
Related image

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার কয়েকটি উপজেলার সরিষাক্ষেতের পাশে মধু আহরণের জন্য বক্স বসিয়েছেন চাষিরা। সেসব বক্স থেকে মৌমাছি বের হয়ে সরিষাফুল থেকে মধু আহরণ করে বক্সের ভেতর প্রবেশ করছে। মৌ-চাষিরা সাতদিনে একবার বক্সের ভেতর থাকা মৌবাক্স বের করে মধু সংগ্রহ করেন। তা স্থানীয় পর্যায়ে ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি করেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন এসে তা কিনে নিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে থাকেন।Image result for সরিষা থেকে কোটি টাকার মধু আহরণের সম্ভাবনা ছবি

খানজাহান আলী (র.) মৌচাষ প্রকল্পের মধু চাষি ফয়সাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিবছর মানিকগঞ্জের উকিয়ারা আসি, এ এলাকায় সরিষার আবাদ ও মধু আহরণও ভালো হয়। এ বছর আমি দুইশ ৫০টি বক্স নিয়ে এসেছি। আমাদের এখান থেকে স্থানীয়রা মধু কিনে তাদের আত্মীয়দের উপহার দিয়ে থাকেন। আমাদের মধু দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি এবং নামিদামি কোম্পানির মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করা হয়।

Related imageজীম মীম মৌ-খামার প্রকল্পের সত্ত্বাধিকারী সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও সাতক্ষীরা থেকে সরিষাফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মানিকগঞ্জে এসেছি। আমি প্রায় শতাধিক বক্স নিয়ে এসেছি। মানিকগঞ্জে সরিষার আবাদ ভালো হওয়ার কারণেই আসা, তবে এ বছর আবহাওয়ার অবস্থা খুব একটা ভালো না। ফলে মৌমাছি পরাগায়ন করছে না এবং মধু আহরণ করতে পারছি না। এভাবে থাকলে হয়তো লোকসান গুণতে হবে।

Related image

মানিকগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান জাতের অ্যাপিস মেলিফেরা জাতের মৌমাছি উড়ে উড়ে সরিষাফুলের ওপর বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষাফুলে সহজেই পরাগায়ন ঘটে। সরিষাক্ষেতে মধু আহরণের বক্স থাকলে চাষিও ফলন পায় এবং মৌ-চাষিরা মধু আহরণের মাধ্যমে লাভমান হয়। এবছর তিন থেকে চার কোটি টাকার মধু আহরণ হবে বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরিষা থেকে মধু আহরণের সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষাক্ষেতগুলোর পাশে বসানো হয়েছে মৌ-চাষের বক্স। অস্ট্রেলিয়ান জাতের অ্যাপিস মেলিফেরা মৌমাছি সরিষাফুল থেকে পরাগায়নে সহায়তা করছে। অন্যদিকে সেই ফুল থেকে মধু আহরণ করছে।

Related image

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৬ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ২২৫ হেক্টর জমিতে ১৭০০টি মধু আহরণের জন্য চাষিরা বক্স বসিয়েছেন। এবছর ৬৫ হাজার কেজি মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার কেজি আহরণ হয়েছে।
Related image

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার কয়েকটি উপজেলার সরিষাক্ষেতের পাশে মধু আহরণের জন্য বক্স বসিয়েছেন চাষিরা। সেসব বক্স থেকে মৌমাছি বের হয়ে সরিষাফুল থেকে মধু আহরণ করে বক্সের ভেতর প্রবেশ করছে। মৌ-চাষিরা সাতদিনে একবার বক্সের ভেতর থাকা মৌবাক্স বের করে মধু সংগ্রহ করেন। তা স্থানীয় পর্যায়ে ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি করেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন এসে তা কিনে নিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে থাকেন।Image result for সরিষা থেকে কোটি টাকার মধু আহরণের সম্ভাবনা ছবি

খানজাহান আলী (র.) মৌচাষ প্রকল্পের মধু চাষি ফয়সাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিবছর মানিকগঞ্জের উকিয়ারা আসি, এ এলাকায় সরিষার আবাদ ও মধু আহরণও ভালো হয়। এ বছর আমি দুইশ ৫০টি বক্স নিয়ে এসেছি। আমাদের এখান থেকে স্থানীয়রা মধু কিনে তাদের আত্মীয়দের উপহার দিয়ে থাকেন। আমাদের মধু দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি এবং নামিদামি কোম্পানির মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করা হয়।

Related imageজীম মীম মৌ-খামার প্রকল্পের সত্ত্বাধিকারী সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও সাতক্ষীরা থেকে সরিষাফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য মানিকগঞ্জে এসেছি। আমি প্রায় শতাধিক বক্স নিয়ে এসেছি। মানিকগঞ্জে সরিষার আবাদ ভালো হওয়ার কারণেই আসা, তবে এ বছর আবহাওয়ার অবস্থা খুব একটা ভালো না। ফলে মৌমাছি পরাগায়ন করছে না এবং মধু আহরণ করতে পারছি না। এভাবে থাকলে হয়তো লোকসান গুণতে হবে।

Related image

মানিকগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান জাতের অ্যাপিস মেলিফেরা জাতের মৌমাছি উড়ে উড়ে সরিষাফুলের ওপর বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষাফুলে সহজেই পরাগায়ন ঘটে। সরিষাক্ষেতে মধু আহরণের বক্স থাকলে চাষিও ফলন পায় এবং মৌ-চাষিরা মধু আহরণের মাধ্যমে লাভমান হয়। এবছর তিন থেকে চার কোটি টাকার মধু আহরণ হবে বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।