ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবজি খেতে পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অবিরাম বর্ষণের ফলে কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পরায় সবজি খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষকরা শেষ মুহূর্তে সবজি খামারগুলোতে ব্যাপক পরিচর্যা করেন। কিন্তু পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। খেতের সবজি জাল দিয়ে ঘিরে ও ঢেকে রেখেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকরা তাদের খেত-খামারগুলোতে আবারও সবজি চাষ শুরু করেন। ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক হারে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এখন কৃষকরা প্রতিক‚ল আবহাওয়া কাটিয়ে ভালো ফলন পেতে খামারগুলোতে ব্যাপক পরিচর্যা করছেন। এ অবস্থায় পোকার আক্রমণ কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাই তারা পোকামাকড়, গবাদি পশুপাখি এবং চোরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে জাল দিয়ে খেত ঘিরে রাখছেন। কৃষক নূর ইসলাম শেখ বলেন, তার ১০ শতাংশ জমিতে বেগুনের একটি খেত রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অতিবর্ষণের সময় খেতের বেগুন গাছের চারাগুলো প্রায় অর্ধমৃত অবস্থায় ছিল। বর্ষার পর পরিচর্যার মাধ্যমে খামারটি কোন রকমে রক্ষা করতে সক্ষম হন তিনি। এতে ভালো ফলনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু হঠাৎ করে পোকার আক্রমণ বেড়ে গেছে। তাই, অন্য কৃষকদের মতো তিনিও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি খামারটি জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। স্থানীয় অনেকেই এভাবে সবজি খেত রক্ষায় তৎপর হয়ে উঠেছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে বেগুনের দাম চড়া। বিগত বছরের মতো এবারও ভালো মুনাফা লাভে আশাবাদী তিনি। গত মৌসুমে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এবার তিনি আরও বেশি জায়গা নিয়ে বেগুনের চাষ করেন।
জেলা কৃষি অফিস জানান, প্রবল বর্ষণজনিত বন্যায় এলাকার সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নতুন করে চাষাবাদ করছেন। এখন পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তারা সবজি খামার জাল দিয়ে ঘিরে রাখছেন। এতে খামারগুলো গৃহপালিত পশুপাখির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু পোকামাকড় আটকনো সম্ভব হচ্ছে না। তাই, এ নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সবজি খেতে পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন

আপডেট টাইম : ১২:৩২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অবিরাম বর্ষণের ফলে কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পরায় সবজি খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষকরা শেষ মুহূর্তে সবজি খামারগুলোতে ব্যাপক পরিচর্যা করেন। কিন্তু পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। খেতের সবজি জাল দিয়ে ঘিরে ও ঢেকে রেখেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকরা তাদের খেত-খামারগুলোতে আবারও সবজি চাষ শুরু করেন। ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক হারে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এখন কৃষকরা প্রতিক‚ল আবহাওয়া কাটিয়ে ভালো ফলন পেতে খামারগুলোতে ব্যাপক পরিচর্যা করছেন। এ অবস্থায় পোকার আক্রমণ কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাই তারা পোকামাকড়, গবাদি পশুপাখি এবং চোরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে জাল দিয়ে খেত ঘিরে রাখছেন। কৃষক নূর ইসলাম শেখ বলেন, তার ১০ শতাংশ জমিতে বেগুনের একটি খেত রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অতিবর্ষণের সময় খেতের বেগুন গাছের চারাগুলো প্রায় অর্ধমৃত অবস্থায় ছিল। বর্ষার পর পরিচর্যার মাধ্যমে খামারটি কোন রকমে রক্ষা করতে সক্ষম হন তিনি। এতে ভালো ফলনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু হঠাৎ করে পোকার আক্রমণ বেড়ে গেছে। তাই, অন্য কৃষকদের মতো তিনিও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি খামারটি জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। স্থানীয় অনেকেই এভাবে সবজি খেত রক্ষায় তৎপর হয়ে উঠেছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে বেগুনের দাম চড়া। বিগত বছরের মতো এবারও ভালো মুনাফা লাভে আশাবাদী তিনি। গত মৌসুমে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এবার তিনি আরও বেশি জায়গা নিয়ে বেগুনের চাষ করেন।
জেলা কৃষি অফিস জানান, প্রবল বর্ষণজনিত বন্যায় এলাকার সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নতুন করে চাষাবাদ করছেন। এখন পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তারা সবজি খামার জাল দিয়ে ঘিরে রাখছেন। এতে খামারগুলো গৃহপালিত পশুপাখির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু পোকামাকড় আটকনো সম্ভব হচ্ছে না। তাই, এ নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।