ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋতু পরিবর্তনের শিশুর ঠান্ডা লাগলে ভিক্স-বাম নয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুরা কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কাশিতে জ্বর থাকে না, শিশুও হাসিখুশি থাকে কিন্তু সমস্যা হলো- সহজে এই কাশি যেতেই চায় না। এটি কিন্তু নিউমোনিয়া নয়, মূলত ধুলাবালি ও হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলেই এ ধরনের কাশি হচ্ছে। নিউমোনিয়া নয় বলে এতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। ঘন ঘন বুকের দুধ খেলে আর বড় শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি করে স্যুপ, রং চা, লেবু চা ইত্যাদি খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

টক অর্থাৎ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার শিশুর সর্দির জন্য ভালো। ছোট শিশুদের সর্দিকাশিতে লবণপানির নাকের ড্রপ বেশ কার্যকর। শিশুর ঠান্ডা লাগলে ভিক্স, বাম কখনই দেওয়া যাবে না। এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিকর। অপরদিকে শিশুদের সর্দিকাশিতে কখনই বাজারে প্রচলিত কফ সিরাপ দেওয়া উচিত নয়। এসব সিরাপে হাইড্রোকার্বন, গুয়াইফেনেসিন, সিউডোএফিড্রিন, ডেক্সট্রো মেথরফেন ইত্যাদি থাকে; যা শিশুর মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।

শিশুর জন্য আরও ক্ষতিকর হলো রান্নার ধোঁয়া, মশার কয়েল ও পরোক্ষ ধূমপান। এগুলো থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। বাসাবাড়ি থেকে বের হলে অবশ্যই শিশুদের মাস্ক পরাতে হবে। খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে নাক এবং মুখ পাতলা কাপড় বা ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পারতপক্ষে দূরের গন্তব্যে ভ্রমণ না করাই ভালো।

অনেক শিশুরই নাকে হাত দেওয়ার অভ্যাস আছে। শিশুর নাকে হাত দিলে অবশ্যই যেন তা টিস্যু দিয়ে মুছে নেয় অথবা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলে সে অভ্যাস করাতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ও বদ্ধ ঘরের গুমোট পরিবেশে শিশুর জন্য ক্ষতিকর। তাই শিশুর সর্দিকাশি হয়েছে বলে দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখবেন না। প্রতিদিন সকালে সূর্যের তেজ বাড়লে এক থেকে দুই ঘণ্টার জন্য ঘরের সব জানালা খুলে দিন। এতে ঘরে মাইট তৈরি হবে না। ফলে সর্দিকাশিও কম হবে। এসব নিয়ম মেনে চললে সাধারণত শিশুকে সর্দিকাশি থেকে মুক্ত রাখা যাবে।

তবে তীব্র জ্বর থাকলে শিশু অনবরত বমি করলে বা কিছুই খাওয়ানো না গেলে কাশি দুই সপ্তাহ স্থায়ী কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো থাকুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঋতু পরিবর্তনের শিশুর ঠান্ডা লাগলে ভিক্স-বাম নয়

আপডেট টাইম : ১২:০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুরা কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কাশিতে জ্বর থাকে না, শিশুও হাসিখুশি থাকে কিন্তু সমস্যা হলো- সহজে এই কাশি যেতেই চায় না। এটি কিন্তু নিউমোনিয়া নয়, মূলত ধুলাবালি ও হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলেই এ ধরনের কাশি হচ্ছে। নিউমোনিয়া নয় বলে এতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। ঘন ঘন বুকের দুধ খেলে আর বড় শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি করে স্যুপ, রং চা, লেবু চা ইত্যাদি খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

টক অর্থাৎ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার শিশুর সর্দির জন্য ভালো। ছোট শিশুদের সর্দিকাশিতে লবণপানির নাকের ড্রপ বেশ কার্যকর। শিশুর ঠান্ডা লাগলে ভিক্স, বাম কখনই দেওয়া যাবে না। এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিকর। অপরদিকে শিশুদের সর্দিকাশিতে কখনই বাজারে প্রচলিত কফ সিরাপ দেওয়া উচিত নয়। এসব সিরাপে হাইড্রোকার্বন, গুয়াইফেনেসিন, সিউডোএফিড্রিন, ডেক্সট্রো মেথরফেন ইত্যাদি থাকে; যা শিশুর মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।

শিশুর জন্য আরও ক্ষতিকর হলো রান্নার ধোঁয়া, মশার কয়েল ও পরোক্ষ ধূমপান। এগুলো থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। বাসাবাড়ি থেকে বের হলে অবশ্যই শিশুদের মাস্ক পরাতে হবে। খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে নাক এবং মুখ পাতলা কাপড় বা ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পারতপক্ষে দূরের গন্তব্যে ভ্রমণ না করাই ভালো।

অনেক শিশুরই নাকে হাত দেওয়ার অভ্যাস আছে। শিশুর নাকে হাত দিলে অবশ্যই যেন তা টিস্যু দিয়ে মুছে নেয় অথবা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলে সে অভ্যাস করাতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ও বদ্ধ ঘরের গুমোট পরিবেশে শিশুর জন্য ক্ষতিকর। তাই শিশুর সর্দিকাশি হয়েছে বলে দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখবেন না। প্রতিদিন সকালে সূর্যের তেজ বাড়লে এক থেকে দুই ঘণ্টার জন্য ঘরের সব জানালা খুলে দিন। এতে ঘরে মাইট তৈরি হবে না। ফলে সর্দিকাশিও কম হবে। এসব নিয়ম মেনে চললে সাধারণত শিশুকে সর্দিকাশি থেকে মুক্ত রাখা যাবে।

তবে তীব্র জ্বর থাকলে শিশু অনবরত বমি করলে বা কিছুই খাওয়ানো না গেলে কাশি দুই সপ্তাহ স্থায়ী কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো থাকুন।