ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাওমি পণ্য কিনতে সাবধান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্রেতাদের সতর্ক করল চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। অনুমোদিত স্টোর, ব্র্যান্ড ও অংশীদার আউটলেট থেকে শাওমি পণ্য ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক বিবৃতিতে শাওমি জানিয়েছে, শাওমি ব্র্যান্ডের নকল পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে উঠেছে। তাই শাওমি অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় ভালোভাবে পরখ করে নিতে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত নভেম্বরে শাওমির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের দিল্লির পুলিশ একটি সুপারশপে অভিযান চালিয়ে দুই হাজারের বেশি নকল শাওমি পণ্য জব্দ করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়ে শাওমি ক্রেতাদের সতর্ক করল।

শাওমি পণ্য ক্রয়ে যে ছয়টি বিষয় যাচাই করতে হবে, সেগুলো হলো- 

নিরাপত্তা কোড : প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শাওমির অনেক পণ্যে নিরাপত্তা কোড দেয়া থাকে। কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি আসল কি না, তা সহজে যাচাই করার জন্য এ নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করা হয়। বিশেষত, শাওমির মি পাওয়ার ব্যাংক ক্রয়ের ক্ষেত্রে এ নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করে পণ্যটি আসল না নকল, তা ‘mi.com’ থেকে যাচাই করে নেয়া যাবে।

প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স : সাধারণত আসল এবং নকল পণ্যের প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্সের মানে অনেক পার্থক্য থাকে। এজন্য শাওমি অ্যাকসেসরিজ এবং গ্যাজেট ক্রয়ের আগে পণ্যটির প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স ভালোভাবে পরখ করে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্যাকেজিং বা রিটেইল বক্স দুর্বল কিংবা আগে খোলা হয়েছে মনে হলে পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেসব আউটলেটে এ ধরনের পণ্য মিলবে, সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি না কেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শাওমি পণ্যের প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স বৈধ কি না, তা যাচাইয়ের জন্য ক্রেতাদের ‘মি হোম কিংবা মি স্টোর’ ভিজিট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মি লোগো : বহুজাতিক প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের পণ্যের গায়ে লোগো বসানো থাকে। শাওমির সবধরনের পণ্যেও তাদের লোগো ব্যবহার করা হয়। তবে পণ্য ক্রয়ের আগে যাচাই করে নিতে হবে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটির লোগো প্রকৃত কি না। তাই স্মার্টফোন কিংবা শাওমির ব্র্যান্ডের অন্য কোনো অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডিভাইসের গায়ে থাকা লোগোটি আসল না নকল, তা যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডিভাইস সম্পর্কে সন্দেহ হলে আসল কি না, তা ‘mi.com’ ভিজিট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

অ্যাপ যাচাই : শাওমির সব অনুমোদিত ফিটনেস পণ্যেই প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন অ্যাপ কাজ করবে। যদি কোনো ফিটনেস ব্র্যান্ড বা অন্য অ্যাকসেসরিজে শাওমির স্মার্টফোন অ্যাপ যথাযথভাবে কাজ না করে, তাহলে সে পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা কোড দিয়ে ‘mi.com’ অধিকতর যাচাইয়ের মাধ্যমে পণ্যটি আসল না নকল, তা যাচাই করা যাবে।

লি-পলি : শাওমির সব গ্যাজেটের পণ্যের ব্যাটারিতে ‘লি-পলি’ লেখা সাইন দেয়া থাকে। এর মানে হলো কোনো শাওমির পণ্যের ব্যাটারির গায়ে এ সাইন দেখা না গেলে কিংবা যেনতেনভাবে সাইনটি দেখা গেলেও তা নকল পণ্য বলে ধরে নিতে হবে। এ ধরনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে গ্যাজেটের কার্যক্ষমতা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য শাওমির কিছু গ্যাজেটে ‘লি-আয়ন’ লেখা সাইনও দেখা যায়। এর অর্থ হলো ব্যাটারিটি শাওমির তৈরি নয়, তবে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করা।

ইউএসবি কেবল : সাধারণত ইউএসবি কেবলে বিশেষ কোনো নিরাপত্তা কোড বা আসল পণ্য বলে চিহ্নিত করা যায়, এ রকম কোনো চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না। তবে নকল ইউএসবি কেবল সহজে ভেঙে ফেলা সম্ভব বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শাওমির অনুমোদিত স্টোর থেকে এ ধরনের কেবল ক্রয়ে নকল পণ্য পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শাওমি পণ্য কিনতে সাবধান

আপডেট টাইম : ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্রেতাদের সতর্ক করল চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। অনুমোদিত স্টোর, ব্র্যান্ড ও অংশীদার আউটলেট থেকে শাওমি পণ্য ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক বিবৃতিতে শাওমি জানিয়েছে, শাওমি ব্র্যান্ডের নকল পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে উঠেছে। তাই শাওমি অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় ভালোভাবে পরখ করে নিতে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত নভেম্বরে শাওমির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের দিল্লির পুলিশ একটি সুপারশপে অভিযান চালিয়ে দুই হাজারের বেশি নকল শাওমি পণ্য জব্দ করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়ে শাওমি ক্রেতাদের সতর্ক করল।

শাওমি পণ্য ক্রয়ে যে ছয়টি বিষয় যাচাই করতে হবে, সেগুলো হলো- 

নিরাপত্তা কোড : প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শাওমির অনেক পণ্যে নিরাপত্তা কোড দেয়া থাকে। কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি আসল কি না, তা সহজে যাচাই করার জন্য এ নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করা হয়। বিশেষত, শাওমির মি পাওয়ার ব্যাংক ক্রয়ের ক্ষেত্রে এ নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করে পণ্যটি আসল না নকল, তা ‘mi.com’ থেকে যাচাই করে নেয়া যাবে।

প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স : সাধারণত আসল এবং নকল পণ্যের প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্সের মানে অনেক পার্থক্য থাকে। এজন্য শাওমি অ্যাকসেসরিজ এবং গ্যাজেট ক্রয়ের আগে পণ্যটির প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স ভালোভাবে পরখ করে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্যাকেজিং বা রিটেইল বক্স দুর্বল কিংবা আগে খোলা হয়েছে মনে হলে পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেসব আউটলেটে এ ধরনের পণ্য মিলবে, সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি না কেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শাওমি পণ্যের প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স বৈধ কি না, তা যাচাইয়ের জন্য ক্রেতাদের ‘মি হোম কিংবা মি স্টোর’ ভিজিট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মি লোগো : বহুজাতিক প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের পণ্যের গায়ে লোগো বসানো থাকে। শাওমির সবধরনের পণ্যেও তাদের লোগো ব্যবহার করা হয়। তবে পণ্য ক্রয়ের আগে যাচাই করে নিতে হবে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটির লোগো প্রকৃত কি না। তাই স্মার্টফোন কিংবা শাওমির ব্র্যান্ডের অন্য কোনো অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডিভাইসের গায়ে থাকা লোগোটি আসল না নকল, তা যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডিভাইস সম্পর্কে সন্দেহ হলে আসল কি না, তা ‘mi.com’ ভিজিট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

অ্যাপ যাচাই : শাওমির সব অনুমোদিত ফিটনেস পণ্যেই প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন অ্যাপ কাজ করবে। যদি কোনো ফিটনেস ব্র্যান্ড বা অন্য অ্যাকসেসরিজে শাওমির স্মার্টফোন অ্যাপ যথাযথভাবে কাজ না করে, তাহলে সে পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা কোড দিয়ে ‘mi.com’ অধিকতর যাচাইয়ের মাধ্যমে পণ্যটি আসল না নকল, তা যাচাই করা যাবে।

লি-পলি : শাওমির সব গ্যাজেটের পণ্যের ব্যাটারিতে ‘লি-পলি’ লেখা সাইন দেয়া থাকে। এর মানে হলো কোনো শাওমির পণ্যের ব্যাটারির গায়ে এ সাইন দেখা না গেলে কিংবা যেনতেনভাবে সাইনটি দেখা গেলেও তা নকল পণ্য বলে ধরে নিতে হবে। এ ধরনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে গ্যাজেটের কার্যক্ষমতা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য শাওমির কিছু গ্যাজেটে ‘লি-আয়ন’ লেখা সাইনও দেখা যায়। এর অর্থ হলো ব্যাটারিটি শাওমির তৈরি নয়, তবে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করা।

ইউএসবি কেবল : সাধারণত ইউএসবি কেবলে বিশেষ কোনো নিরাপত্তা কোড বা আসল পণ্য বলে চিহ্নিত করা যায়, এ রকম কোনো চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না। তবে নকল ইউএসবি কেবল সহজে ভেঙে ফেলা সম্ভব বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শাওমির অনুমোদিত স্টোর থেকে এ ধরনের কেবল ক্রয়ে নকল পণ্য পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানানো হয়েছে।