ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুদাম ধান দিতে অ্যাপসের মাধ্যমে শুরু হলো নিবন্ধন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষকদের সরাসরি সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।এই পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১৬ জেলার সদর উপজেলায় কৃষি অ্যাপসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের শেষে কৃষক নিজের ধান সরকারি গুদামে সরবরাহ এবং ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করবেন। গত ৩ দিনে নওগাঁ সদর উপজেলায় প্রায় ১২শ কৃষক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

নওগাঁ পৌরসভার (ব্লক) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামছুল আলম জানান, একজন কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র, কৃষি কার্ড ও তার ব্যবহৃত নিজস্ব সেল নম্বর নিয়ে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধিত কৃষকরা এই সুবিধা সারাজীবন পাবেন।

সদর উপজেলার বক্তারপুর (ব্লক) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, কৃষি নিবন্ধন সম্পন্ন হলে কৃষকের সেল ফোনে ম্যাসেজ পাবেন। এরপর খাদ্য বিভাগে ধান দিতে আগ্রহী কৃষকরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করবেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ খাদ্য সংগ্রহ কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে লটারির করে কৃষকদের তালিকা করবেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, কৃষকরা নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ধানের আর্দ্রতা যাচাই-বাছাই করে কোন গুদামের ধান সরবরাহ করতে হবে তা জানতে পারবেন এবং ওই অ্যাপসের মাধ্যমেই কৃষকরা নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাবেন।

নওগাঁ সরকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান জানান, সরকারের এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে ধান নেওয়ায় কৃষকদের হয়রানি ও সময় দুটোই বাঁচবে। নিবন্ধনের সময় বড়, মাঝারি ও ছোট কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। লটারির মাধ্যমে কে কত ধান গুদামে দিতে পারবেন তা এই অ্যাপসই নির্ধারণ করবে। আশা করা হচ্ছে সদরে প্রায় ৪০ হাজার কৃষক নিবন্ধনের আওতায় আসবেন।

জেলা প্রশাসক হারুন-অর রশীদ ইত্তেফাককে জানান, যে কৃষকরা ধান সরকারি গুদামের দেওয়ার অনুমোদন পাবেন তারা স্থানীয় ব্লক সুপারভাইজারের মাধ্যমে ধানের আর্দ্রতা পরিমাপ করবেন। কোনো কৃষকের ধানে আর্দ্রতা যদি কম থাকে তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে না জানিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। আর্দ্রতা কম থাকলে বা সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা ক্ষতিয়ে দেখবেন। এতে কৃষকদের হয়রানি কমে যাবে। অন্যদিকে ধান সংগ্রহে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারো যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গুদাম ধান দিতে অ্যাপসের মাধ্যমে শুরু হলো নিবন্ধন

আপডেট টাইম : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষকদের সরাসরি সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।এই পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১৬ জেলার সদর উপজেলায় কৃষি অ্যাপসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের শেষে কৃষক নিজের ধান সরকারি গুদামে সরবরাহ এবং ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করবেন। গত ৩ দিনে নওগাঁ সদর উপজেলায় প্রায় ১২শ কৃষক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

নওগাঁ পৌরসভার (ব্লক) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামছুল আলম জানান, একজন কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র, কৃষি কার্ড ও তার ব্যবহৃত নিজস্ব সেল নম্বর নিয়ে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধিত কৃষকরা এই সুবিধা সারাজীবন পাবেন।

সদর উপজেলার বক্তারপুর (ব্লক) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, কৃষি নিবন্ধন সম্পন্ন হলে কৃষকের সেল ফোনে ম্যাসেজ পাবেন। এরপর খাদ্য বিভাগে ধান দিতে আগ্রহী কৃষকরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করবেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ খাদ্য সংগ্রহ কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে কৃষি অ্যাপসের মাধ্যমে লটারির করে কৃষকদের তালিকা করবেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, কৃষকরা নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ধানের আর্দ্রতা যাচাই-বাছাই করে কোন গুদামের ধান সরবরাহ করতে হবে তা জানতে পারবেন এবং ওই অ্যাপসের মাধ্যমেই কৃষকরা নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাবেন।

নওগাঁ সরকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান জানান, সরকারের এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে ধান নেওয়ায় কৃষকদের হয়রানি ও সময় দুটোই বাঁচবে। নিবন্ধনের সময় বড়, মাঝারি ও ছোট কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। লটারির মাধ্যমে কে কত ধান গুদামে দিতে পারবেন তা এই অ্যাপসই নির্ধারণ করবে। আশা করা হচ্ছে সদরে প্রায় ৪০ হাজার কৃষক নিবন্ধনের আওতায় আসবেন।

জেলা প্রশাসক হারুন-অর রশীদ ইত্তেফাককে জানান, যে কৃষকরা ধান সরকারি গুদামের দেওয়ার অনুমোদন পাবেন তারা স্থানীয় ব্লক সুপারভাইজারের মাধ্যমে ধানের আর্দ্রতা পরিমাপ করবেন। কোনো কৃষকের ধানে আর্দ্রতা যদি কম থাকে তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে না জানিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। আর্দ্রতা কম থাকলে বা সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা ক্ষতিয়ে দেখবেন। এতে কৃষকদের হয়রানি কমে যাবে। অন্যদিকে ধান সংগ্রহে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারো যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।