ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের কুয়াশায় হাওয়া অগ্রহায়ণেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
  • ২২১ বার

man walking in the fog

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সকালের সোনারোদ ঢেকে থাকে কুয়াশায়। দুপুরকে মনে হয় যেন ঝলমলে সকাল। দুপুরে সোনারোদ চলে গেলে নামে কুয়াশার চাদর। পৌষ আসেনি, চলছে অগ্রহায়ণের প্রথম পক্ষ। তার পরও দেশজুড়ে শীতের আমেজ। আমেজটা শুরু হয় ভোরের কুয়াশায়। গতকাল শুক্রবার ভরদুপুরেও খোদ ঢাকার আকাশে তেজ ছিল না সূর্যের। বেশির ভাগ জেলায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা, ছিল হিমেল হাওয়া।

গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছীতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, মধ্য নভেম্বর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে সারা দেশে। আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা কমতে থাকবে একটু একটু করে। গ্রামাঞ্চলে এরই মধ্যে লেপ-কাঁথা-কম্বল ব্যবহার করা শুরু হয়েছে।

রাজধানীতেও ভোরে কারো কারো গায়ে উঠছে কম্বল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকার কথা। এছাড়া আবহাওয়া থাকবে শুকনো। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকার কথা। দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়বে। ঢাকায় গত সন্ধ্যায় বাতাসের গতি ছিল উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার।

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, শীতের আভাস মিলছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। দুপুরে সূর্যের খরতাপ থাকলেও রাতে কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। কয়েকদিনে জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। এবার ঠিক সময় মতোই শীত নেমেছে পঞ্চগড়ে। সূর্য ডোবার সঙ্গে নেমে আসে ঠান্ডা। হালকা কুয়াশায় ঝাপসা যায় চারপাশ। রাত বাড়লে পথচারীদের চলাচলও কমে যায়। রাতে টিনের চালায় টুপ টুপ অবিরাম পড়ে কুয়াশার ফোটা। কাঁথা কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়। তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এই সময়ে সকালে শীত বেশ উপভোগ করার মতো। কিন্তু দিনে অস্বাভাবিক গরম থাকে। অনেক সময় গায়ে কাপড় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার রাতে কাঁথা কম্বল ছাড়া থাকা যায় না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দে র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। তবে রাত ও সকালে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ে। বিকেল পর্যন্ত তা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শীতের কুয়াশায় হাওয়া অগ্রহায়ণেই

আপডেট টাইম : ১২:২৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সকালের সোনারোদ ঢেকে থাকে কুয়াশায়। দুপুরকে মনে হয় যেন ঝলমলে সকাল। দুপুরে সোনারোদ চলে গেলে নামে কুয়াশার চাদর। পৌষ আসেনি, চলছে অগ্রহায়ণের প্রথম পক্ষ। তার পরও দেশজুড়ে শীতের আমেজ। আমেজটা শুরু হয় ভোরের কুয়াশায়। গতকাল শুক্রবার ভরদুপুরেও খোদ ঢাকার আকাশে তেজ ছিল না সূর্যের। বেশির ভাগ জেলায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা, ছিল হিমেল হাওয়া।

গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছীতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, মধ্য নভেম্বর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে সারা দেশে। আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা কমতে থাকবে একটু একটু করে। গ্রামাঞ্চলে এরই মধ্যে লেপ-কাঁথা-কম্বল ব্যবহার করা শুরু হয়েছে।

রাজধানীতেও ভোরে কারো কারো গায়ে উঠছে কম্বল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকার কথা। এছাড়া আবহাওয়া থাকবে শুকনো। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকার কথা। দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়বে। ঢাকায় গত সন্ধ্যায় বাতাসের গতি ছিল উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার।

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, শীতের আভাস মিলছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। দুপুরে সূর্যের খরতাপ থাকলেও রাতে কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। কয়েকদিনে জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। এবার ঠিক সময় মতোই শীত নেমেছে পঞ্চগড়ে। সূর্য ডোবার সঙ্গে নেমে আসে ঠান্ডা। হালকা কুয়াশায় ঝাপসা যায় চারপাশ। রাত বাড়লে পথচারীদের চলাচলও কমে যায়। রাতে টিনের চালায় টুপ টুপ অবিরাম পড়ে কুয়াশার ফোটা। কাঁথা কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়। তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এই সময়ে সকালে শীত বেশ উপভোগ করার মতো। কিন্তু দিনে অস্বাভাবিক গরম থাকে। অনেক সময় গায়ে কাপড় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার রাতে কাঁথা কম্বল ছাড়া থাকা যায় না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দে র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। তবে রাত ও সকালে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ে। বিকেল পর্যন্ত তা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে।