ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

আওয়ামী লীগের সম্মেলন রণক্ষেত্র নোয়াখালী আহত দেড় শতাধিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
  • ২০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে এমপি ও মেয়র গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। গুলিবিদ্ধ যুবলীগ নেতাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্যান্ডেল দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এসময় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ১৩০ জন।  নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে প্যান্ডেল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এমপি সমর্থক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ দু’গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক সময় মেয়র  সোহেল গ্রুপকে ধাওয়া করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিলে সোহেল গ্রুপ রাস্তায় এসে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং একরাম গ্রুপকে ধাওয়া করে। এরপর নোয়াখালী শহরে গণপূর্ত ভবন ও আমানিয়া হোটেলের সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শটগানের গুলিতে পিয়াস (২৫) ও আরিফ (২৮) গুলিবিদ্ধ হয় এবং সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হয়।

আশংকাজনক অবস্থায় মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী আরিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে, গুলিবিদ্ধ আরিফের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উভয়পক্ষ নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে। এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলিবর্ষণে মাইজদী শহরের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনা চলছে।

সূএঃ মানবজমিন

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের সম্মেলন রণক্ষেত্র নোয়াখালী আহত দেড় শতাধিক

আপডেট টাইম : ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে এমপি ও মেয়র গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। গুলিবিদ্ধ যুবলীগ নেতাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্যান্ডেল দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এসময় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ১৩০ জন।  নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে প্যান্ডেল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এমপি সমর্থক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ দু’গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক সময় মেয়র  সোহেল গ্রুপকে ধাওয়া করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিলে সোহেল গ্রুপ রাস্তায় এসে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং একরাম গ্রুপকে ধাওয়া করে। এরপর নোয়াখালী শহরে গণপূর্ত ভবন ও আমানিয়া হোটেলের সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শটগানের গুলিতে পিয়াস (২৫) ও আরিফ (২৮) গুলিবিদ্ধ হয় এবং সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হয়।

আশংকাজনক অবস্থায় মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী আরিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে, গুলিবিদ্ধ আরিফের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উভয়পক্ষ নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে। এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলিবর্ষণে মাইজদী শহরের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনা চলছে।

সূএঃ মানবজমিন