হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জননেতা এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ৭৫ এ আমাদের রাজনীতির আদর্শের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পরে রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র হরণ করা হয়েছিল বিভিন্ন ভাবে। রাজনীতিতে অর্থের ব্যবহার, অস্ত্রের ব্যবহার,কালো টাকার ব্যবহারে রাজনীতির মূল চরিত্র নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতির আকাশে যখন ঘন কালো মেঘ,অন্ধকারের চারিদিক নিমজ্জিত তখন মহান আল্লাহর আশীর্বাদে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। এই ছন্নছাড়া, ঝঞ্চা বিক্ষুব্ধ জাতির হাল ধরেন।দেশের প্রতিটি এলাকায় সফর করেন, স্বৈরশাসক জিয়ার শত বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মম মৃত্যু দুঃখ কষ্ট বুকে চেপে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অশ্রু শিক্ত নয়নে জনগণের পাশে দাঁড়ান। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবার লক্ষ্যে আরামের ঘুম হারাম করে সন্তানকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে, স্বামীকে তার সোগান থেকে বঞ্চিত করে বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দিন রাত পরিশ্রম করে চলেন।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল দীর্ঘ ২১ বছর সকল বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এত সংগ্রাম এত রক্ত এত জীবন দিয়ে টিকে থাকেনি একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া।
তিনি বলেন, এই দেশ যখন খাদ্য ঘাটতি ছিলো, জঙ্গি সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে ছিল মানুষের ভোটের ও ভাতের অধিকার ছিল না তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন, জঙ্গি সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ করেন।ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেন। এখন এই দেশে মঙ্গা হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় না। সারা পৃথিবী অবাক হয়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। পৃথিবীর বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গবেষকেরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিশ্বের জন্য শিক্ষা অর্জনের বিষয় মনে করেন। দশ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া তাদের খাদ্য দেওয়ায় পৃথিবীর কাছে মানবতার মা হিসাবে স্বীকৃত হয়েছেন।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, আপনারা যারা তৃণমূল নেতাকর্মী তারাই এই দলের প্রাণ। আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধা করেন ভালোবাসে। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি তৃণমূলের কোন নেতা কর্মীরা গেলে হাসি মুখে কুশল বিনিময় করেন, খবর নেন, সাহায্য করেন।যারা ইউনিয়ন এবং থানা উপজেলার নেতৃত্বে আছেন তাদের আচরণ ব্যবহার ভালো না হলে আওয়ামী লীগের বদনাম হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং আপনারা সকলে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন যেকোন বিপদে সাহায্যের হাত বাড়াবেন। মনে রাখবেন মানুষের ভালোবাসা ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীতে সততার দিক দিয়ে দ্বিতীয়।তার নেতৃত্বে এই দেশে ৭৫ এর পর সকল অর্জন সাধিত হয়েছে। এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে শেখ হাসিনা উন্নয়ন করেননি। সুতরাং আসুন আমরা সজাগ হই, জনগণের মনের ভাষা বুঝি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনের ভাষা চোখের ভাষা বুঝে রাজনীতি করি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার নিজ ঘরে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্চসেবকলীগের সভাপতি সেক্রেটারিকে বহিষ্কার করেছেন সুতরাং সাবধান! কেউ পার পাবেন না।সবার খবর তার কাছে আছে। আসুন আগামী ২১ সালের মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ, ৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি । মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করি তিনি যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেক্রেটারির সাথে পরামর্শ করে একটা সুন্দর ও শক্তিশালী কমিটি ঘোষণা করেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
সম্মেলনে উদ্ভোদক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাক্তার মোজাম্মেল হক। নতুন সভাপতি হিসাবে আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পান জনাব এস এম মাহাফুজুর রহমান। সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম খোকন। সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু বক্কর সিদ্দিক। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব খায়রুল ইসলাম কচি।