হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপমহাদেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার আজ ৬৭তম জন্মদিন। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনে থাকছেন তিনি। ভারতীয় টিভি চ্যানেল ‘স্টার জলসা’ বিশেষ এই আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। ‘স্টার জলসা’য় প্রচার চলতি ‘কে আপন কে পর’ সিরিয়ালটির আজকের পর্বে জন্মদিন উপলক্ষে উপস্থিত থাকবেন রুনা লায়লা। ২০১৬ সাল থেকে চ্যানেলটিতে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে এই সিরিয়ালটি। এ প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, আমার জন্মদিন ঘিরে স্টার জলসার উদ্যোগে বিশেষ এ আয়োজনকে আমি স্বাগত জানাই। এমন একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক প্রচারের সময়কালে আমারই জন্মদিনে আমার উপস্থিতির বিষয়টি আমার জন্য অনেক ভালোলাগার। একজন শিল্পী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই এ ধারাবাহিকের বিশেষ এ পর্বে উপস্থিত হয়ে নাটকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাজের স্পৃহাকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা।
বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী। রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। সঙ্গীতভূবনে পাঁচ দশক কাটিয়ে এখনও সেরা হয়েই বিচরণ করছেন এই শিল্পী। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।
তার দমাদম মাস্ত কালান্দার গান উপমহাদেশ বিখ্যাত। আজ জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন রুনা লায়লা। জন্মদিনের আগেই সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার একটি গানের সুর করে এ পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া জন্মদিনের আগে নিজের সুর-কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে ‘ফেরাতে পারিনি’ শিরোনামের নতুন গানের ভিডিও। এদিকে ২২শে নভেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ভারতের দিবারাত্রির ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রুনা লায়লা।
এসব মিলিয়ে ৬৭তম জন্মদিনটি বিশেষ হয়ে রইল এ গুণী শিল্পীর জন্য। পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই শিল্পী।