ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৯৪ বার

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ পৃথক কমিশন গঠন করার প্রস্তাব জাতীয় শিক্ষানীতিতেই বিদ্যমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।রোববার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যেদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। বাস্তবে এটি হঠাৎ করেই করা হয়নি, জাতীয় শিক্ষানীতিতেই রয়েছে।

নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষানীতিতে রয়েছে সরকারী কর্মকমিশনের আদলে একটি বেসরকারী শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষানীতিতে যা উল্লেখ করা আছে আমরা হুবহু তা বাস্তবায়ন করছি। এই নীতিটি জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আপনাদের সবার অনুমোদনক্রমেই এটা হয়েছে। এটা কাউকে বঞ্চিত করার জন্য নয়, বরং শিক্ষানীতির বাস্তবায়নেরই একটি পর্যায়। সবাই আমার যে দিয়েছেন সেটা আসলে ঠিক নয়।

তিনি বলেন, পিএসসির অনুরুপ যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে তা ভালো শিক্ষক নিয়োগের জন্যই করা হয়েছে। আপনারা যদি শিক্ষানীতিটা পড়েন, আশা করি এটা নিয়ে কোন বিতর্ক থাকবে না। শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে ভালো শিক্ষকের ওপর। কারণ ভালো শিক্ষকই ভালো ছাত্র তৈরি করতে পারে। ভালো মানের শিক্ষার জন্য স্কুল, কলেজ বা বই খাতা না থাকলেও চলে, কিন্তু ভালো শিক্ষক না থাকলে চলে না। আর আমরা ভালো শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েই গুরুত্ব দিয়ে এটা করেছি।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন ৬২-র শিক্ষা আন্দোলনের একটি দাবি ছিল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দাবি ছিল একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির প্রণয়নকৃত সেই খসড়া শিক্ষানীতি যখন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছিল তখন এর বিরোধীতা কেউ করে নাই। এমনকি কোন ব্যক্তি বা দলও এটিতে দ্বিমত পোষণ করে নাই। ফলে সকলের সম্মতিক্রমে এটা অনুমোদন হয়েছে। সেই শিক্ষানীতির ওপর ভর করেই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে।

সাংসদদের আপত্তির জায়গায় নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সকল সংসদ সদস্য মিলে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩ হাজারটি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু মোট বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৬ হাজার ৭১টি। তাহলে বাকি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেগুলোর সভাপতি অন্যরা। আমরা যেটা করেছি সেটা কাউকে বাতিল করার উদ্যেশ্যে নয়। শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষেই এটা করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী জবাবদিহিতার ভয়ে সংসদ থেকে পালিয়ে গেছেন এমন সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে করতে ৬টা বেজে যায়। আর মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু করতে হয় ৬টা থেকে। ১০টার পর বাসায় ফিরি। আসলে আমি ঐদিন কাজের জন্যই গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে কেউ কেউ বলেছেন আমি নাকি পালিয়ে গেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে পৃথক কমিশন গঠন

আপডেট টাইম : ০৯:৩১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ পৃথক কমিশন গঠন করার প্রস্তাব জাতীয় শিক্ষানীতিতেই বিদ্যমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।রোববার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যেদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। বাস্তবে এটি হঠাৎ করেই করা হয়নি, জাতীয় শিক্ষানীতিতেই রয়েছে।

নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষানীতিতে রয়েছে সরকারী কর্মকমিশনের আদলে একটি বেসরকারী শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষানীতিতে যা উল্লেখ করা আছে আমরা হুবহু তা বাস্তবায়ন করছি। এই নীতিটি জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আপনাদের সবার অনুমোদনক্রমেই এটা হয়েছে। এটা কাউকে বঞ্চিত করার জন্য নয়, বরং শিক্ষানীতির বাস্তবায়নেরই একটি পর্যায়। সবাই আমার যে দিয়েছেন সেটা আসলে ঠিক নয়।

তিনি বলেন, পিএসসির অনুরুপ যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে তা ভালো শিক্ষক নিয়োগের জন্যই করা হয়েছে। আপনারা যদি শিক্ষানীতিটা পড়েন, আশা করি এটা নিয়ে কোন বিতর্ক থাকবে না। শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে ভালো শিক্ষকের ওপর। কারণ ভালো শিক্ষকই ভালো ছাত্র তৈরি করতে পারে। ভালো মানের শিক্ষার জন্য স্কুল, কলেজ বা বই খাতা না থাকলেও চলে, কিন্তু ভালো শিক্ষক না থাকলে চলে না। আর আমরা ভালো শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েই গুরুত্ব দিয়ে এটা করেছি।

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন ৬২-র শিক্ষা আন্দোলনের একটি দাবি ছিল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দাবি ছিল একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির প্রণয়নকৃত সেই খসড়া শিক্ষানীতি যখন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছিল তখন এর বিরোধীতা কেউ করে নাই। এমনকি কোন ব্যক্তি বা দলও এটিতে দ্বিমত পোষণ করে নাই। ফলে সকলের সম্মতিক্রমে এটা অনুমোদন হয়েছে। সেই শিক্ষানীতির ওপর ভর করেই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে।

সাংসদদের আপত্তির জায়গায় নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সকল সংসদ সদস্য মিলে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩ হাজারটি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু মোট বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৬ হাজার ৭১টি। তাহলে বাকি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেগুলোর সভাপতি অন্যরা। আমরা যেটা করেছি সেটা কাউকে বাতিল করার উদ্যেশ্যে নয়। শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষেই এটা করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী জবাবদিহিতার ভয়ে সংসদ থেকে পালিয়ে গেছেন এমন সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে করতে ৬টা বেজে যায়। আর মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু করতে হয় ৬টা থেকে। ১০টার পর বাসায় ফিরি। আসলে আমি ঐদিন কাজের জন্যই গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে কেউ কেউ বলেছেন আমি নাকি পালিয়ে গেছি।