হাওর বার্তা ডেস্কঃ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। যারাই টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল ও দুর্নিতী করবে তাদের জন্য কোন জায়গা হবে না আওয়ামীলীগে।
শুক্রবার বিকেলে সাভার সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগে কোন অস্থিরতা নেই, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবীত একজন নেতার পিছনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আছি। তিনিই আমাদের একমাত্র অভিভাবক। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে প্রতিযোগীতা আছে, কিন্তু অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা নেই। অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রীক প্রতিযোগীতা থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আওয়ামীলীগ থেকে কেউ যেতে চাইছেনা। বরং আমরাই দুষিত রক্তগুলোকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এছাড়াও অনুপ্রবেশকারী সবাই খারাপ লোক নয় বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ক্লীন ইমেজের অন্য দলের লোকজনকেও আমরা দলে সদস্যপদ দেই কিন্তু যারা খারাপ লোক, সন্ত্রাসী, দাগি চাঁদাবাজ, তাদেরকে নের্তৃত্বে রাখা যাবেনা। নেত্রীর কাছে তালিকা আছে। তালিকা ধরে ধরে যদি কোন কারনে কেউ ঢুকেও পড়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবেনা। আমরা আদর্শের রাজনীতি করি। আমাদের ভূল ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু আদর্শের শেকড় থেকে আমরা এক চুলও সরিনি, এক চুলও সরবো না।
বিএনপির রাজনীতির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপির বড় বড় উইকেট পড়ে যাচ্ছে। বাঘা বাঘা নেতারা নেতিবাচক রাজনীতিক, জনগনের আস্থা হারিয়ে বিএনপি আজকে পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। বিএনপির নেতারও আজকে বিএনপির সাথে থাকতে চাইছেনা। বিএনপি’র আজকে আর কোন রাজনীতি নেই, আন্দোলনে ব্যার্থ, নির্বাচনে ব্যার্থ, বিএনপি আজ বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। নালিশ ছাড়া তাদের আর কোন পূজি নাই। বিদেশীদের কাছে নালিশ করে, প্রেস ব্রিফিং করে নালিশ করে, এই তাদের সম্বল। আন্দোলনের ডাক দেয়, আষাড়ের তর্জন গর্জনের মতো হাক ডাক দেয়, জনগন সাড়া দেয়না। এ আন্দোলনের কোন মূল্য নাই।
পরে মন্ত্রী আগামী তিন বছরের জন্য সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাষক মিসেস হাসিনা দৌলা এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের নাম ঘোষনা করেন। হাসিনা দৌলা এনিয়ে তৃতীয় দফায় সভাপতির দায়িত্ব পেলেন।
অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১৯ আসনে সাংসদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ বেনজির আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।