ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ কার্গো বিমানে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লাগামহীন মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্গো বিমানে তুরস্ক, মিসর, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবি তুরস্ক থেকে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে পেঁয়াজের বড় চালান বাংলাদেশে আসার পথে রয়েছে। শিগগিরই তা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ পরিবহনে কয়েকদিনের জন্য সমস্যা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উল্লেখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে এবং মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেন, সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে সময় বেশি লাগে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে ভর্তুকি দেয়া হবে। টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। বেসরকারিভাবে যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে- তা সরকার কিনে নিয়ে টিসিবির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করবে। বর্তমানে টিসিবি ১৬টি ট্রাকে দিনে ১ টন করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। নতুন পেঁয়াজ আসলে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পেঁয়াজের পরিমাণও বাড়ানো হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছে। কেউ পেঁয়াজ অবৈধ মজুদ করলে, কারসাজি করে অতি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করলে বা অন্য কোনো উপায়ে বাজারে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজার মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার অভিযান জোরদার করেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনেকবার সভা করেছে, নিয়মিতভাবে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করা হয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।

দেশে পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি জোরদার করা হয়েছে। ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা মূল্যে এ পেঁয়াজ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্রয় চলছে।

এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন হাঁটবাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ দ্রুত পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্নে করতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি টিম প্রতিদিন ঢাকা শহরের বাজারগুলো মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ও প্রতিটি জেলা প্রশাসন জেলার বাজারগুলোতে মনিটরিং জোরদার করেছে। ঢাকার শ্যামবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মতো বড় পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পেঁয়াজ কার্গো বিমানে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লাগামহীন মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্গো বিমানে তুরস্ক, মিসর, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবি তুরস্ক থেকে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে পেঁয়াজের বড় চালান বাংলাদেশে আসার পথে রয়েছে। শিগগিরই তা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ পরিবহনে কয়েকদিনের জন্য সমস্যা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উল্লেখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে এবং মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেন, সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে সময় বেশি লাগে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে ভর্তুকি দেয়া হবে। টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। বেসরকারিভাবে যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে- তা সরকার কিনে নিয়ে টিসিবির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করবে। বর্তমানে টিসিবি ১৬টি ট্রাকে দিনে ১ টন করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। নতুন পেঁয়াজ আসলে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পেঁয়াজের পরিমাণও বাড়ানো হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছে। কেউ পেঁয়াজ অবৈধ মজুদ করলে, কারসাজি করে অতি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করলে বা অন্য কোনো উপায়ে বাজারে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজার মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার অভিযান জোরদার করেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনেকবার সভা করেছে, নিয়মিতভাবে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করা হয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।

দেশে পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি জোরদার করা হয়েছে। ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা মূল্যে এ পেঁয়াজ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্রয় চলছে।

এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন হাঁটবাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ দ্রুত পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্নে করতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি টিম প্রতিদিন ঢাকা শহরের বাজারগুলো মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ও প্রতিটি জেলা প্রশাসন জেলার বাজারগুলোতে মনিটরিং জোরদার করেছে। ঢাকার শ্যামবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মতো বড় পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।