হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতের সময়ই ঠোঁটের যত্ন নেওয়াটা একটু বেশিই দরকার, কেননা শীতের আর্দ্রতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠোঁট। এই সময় ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে ঠোঁটের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই আসছে শীতে আপনার ঠোঁটে চাই বাড়তি যত্ন। ঠোঁটের বাড়তি যত্নের কথা জানাচ্ছেন নওশীন শর্মিলী।
শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই। এখনই বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। চারপাশে চলছে শীতকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। তবে এত আয়োজনের মধ্যেও একটা ভয় সবার মনে থেকেই যায়, আর তা হলো শীতে ঠোঁট ফাটার ভয়। ঠোঁট ফাটলে কষ্ট তো হয়; দেখতেও খুব বাজে লাগে। এ ছাড়া ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক দিলে সেটা আরও বাজে দেখায়। তাই এখন থেকেই ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে, যাতে প্রচণ্ড শীতে আপনার ঠোঁট থাকে সুস্থ। ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ হলো রুক্ষতা। তাই যেভাবেই হোক ঠোঁটের রুক্ষতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য সবসময় ক্রিম বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও ঠোঁটের পরিচর্যা করতে হবে। এ সময় পুরু করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেজা নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়াও উঠে যাবে। ঠোঁট হয়ে উঠবে আরও বেশি সতেজ এবং কোমল।
লিপস্টিকের ব্যবহার
বাইরে বের হওয়ার আগে বেশিরভাগ মেয়েই লিপস্টিক লাগিয়ে থাকেন। তবে ঠোঁট ফাটা থাকলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাই বলে এর যে কোনো সমাধান নেই, তা কিন্তু নয়। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট তো সুরক্ষিত থাকবেই; লিপস্টিকও থাকবে অনেকক্ষণ। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা পাউডার ব্যবহার করবেন। একবার লিপস্টিক লাগিয়ে একটু পাউডার লাগাতে হবে। এরপর আরেকবার একটু লিপস্টিক লাগাতে হবে। এতে লিপস্টিক অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক এমন জায়গায় যারা কাজ করেন, তারা ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগানোর পর ভেজা কাপড় দিয়ে ঠোঁট মুছে ফেলবেন। তারপর লিপস্টিক লাগাবেন। তাহলে লিপস্টিক অনেকক্ষণ ধরে থাকবে। যারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রেও ভ্যাসলিনটা জরুরি।
রঙ নির্বাচন
চকচকে রঙের লিপস্টিক সবসময়ই সবার পছন্দের। আপনার যদি ততটা পছন্দের নাও হয় তবু এই মৌসুমে চকচকে রঙের লিপস্টিকই বেছে নিন। কারণ, চকচকে রঙের লিপস্টিক আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল তো রাখবেই; এমনকি ঠোঁটের ফাটাজনিত কোনো সমস্যা থাকলে সেটিও ঢেকে রাখবে। বাজারে বিভিন্ন রঙের লিপস্টিক পাওয়া যায়। একদিন সময় করে গিয়ে বেশ কয়েকটা নিয়ে আসুন। যাতে ম্যাচ করে ব্যবহার করতে পারেন। লিপস্টিক কেনার সময় সেটি ভালো ব্র্যান্ডের কি না খেয়াল করুন। কারণ, নন ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁটের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাত্ক্ষণিকভাবে হয়তো নেতিবাচক কোনো প্রভাব দেখা যাবে না, তবে ধীরে ধীরে ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যাবে। মনে রাখুন, এ সময় ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। তাহলে ঠোঁট থাকবে নরম ও কোমল।